Articles by "দুনিয়া"

Showing posts with label দুনিয়া. Show all posts



রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম সাধারণ সভার বক্তৃতায় এবার সরাসরি ধর্মীয় তাস খেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তখনই প্রতিবাদে সভা থেকে ওয়াকআউট করে ভারত। পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, ‘‌গত ৭০ বছরে বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের গৌরব তুলে ধরার মতো বিষয়গুলি হল– সন্ত্রাসবাদ, জনজাতির নির্মূলিকরণ, মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত এবং গোপন পারমাণবিক বাণিজ্য।’‌

পাক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নাৎসি পার্টির সঙ্গে তুলনা করলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস থেকে শুরু করে গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লির সংঘর্ষ, একের পর এক উদাহরণ তুলে, ভারতে মুসলিমরাই নির্যাতনের শিকার বলে বার্তা দিতে চান তিনি। 

আর টুইটারে তিরুমূর্তি লেখেন, কূটনৈতিক অধঃপতনে নতুন স্তরে পৌঁছল পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা। তা মিথ্যা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, যুদ্ধবাজ মনোভাবে পরিপূর্ণ। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের দুর্দশা, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি অন্ধকারেই রয়ে গেল। 

ইমরান খানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, জম্মু–কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আইন ও প্রশাসনিক ইস্যু একান্তভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বর্তমানে কাশ্মীরের একমাত্র সমস্যা হল যে, এর কিছুটা অংশ পাকিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। 

এরপর মিজিতো ভিনিতো বলেন, ‘‌এক ব্যক্তির ভুলভাল বক্তব্য শুনতে হল যার নিজের কিছুই প্রদর্শন করার নেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভুয়ো তথ্য, যুদ্ধ–মনোভাবের মতো বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই সভাকক্ষে।’‌



চিনের গোয়েন্দাদের হাতে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য তুলে দেওয়া হচ্ছিল। এই অভিযোগে সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শনিবার দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক চিনের মহিলা ও তাঁর নেপালি সহযোগীকে।

পুলিশ সূ্ত্রে খবর, ধৃত সাংবাদিকের কাছে সেনার বহু গোপনীয় তথ্য আছে। মোটা টাকার বিনিময়ে যা তিনি চিনের এক মহিলাকে পাচার করেন। এই অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত ৬ দিন পুলিশি হেপাজতে রয়েছেন তিনি। তাঁর মোবাইল, ল্যাপটপ সিজ করেছে পুলিশ। কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

শনিবার কুইং শি নামে এক চিনের মহিলা এবং তাঁর নেপালি সঙ্গী শের সিংকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এই তিনজনের বিরুদ্ধেই ভারত থেকে বেশ কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন তথ্য চিনে পাচার করার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

রাজীবের টুইটারে সন্দেহজনক কার্যকলাপের হদিশ মিলেছে বলে খবর। দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখার ডিসিপি সঞ্জীব যাদব বলেন, ‘‌প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য তাঁর কাছে ছিল। তদন্ত চলছে। হাতে তথ্য পৌঁছালে পরে তা জানানো হবে।’‌



এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানের পরিষেবা ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দিল দুবাই বিমানবন্দর। কারণ করোনা রোগীকে নিয়ে দু’‌বার সফর করেছিল এই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান। তাই ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত এই রুটে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার থেকেই দুবাইগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সব বিমান বন্ধ করে দিয়েছে দুবাই অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, কোভিড–১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসা সত্ত্বেও সেই রোগীদের বিমানে সফর করিয়ে দুবাই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ফের পরিষেবা শুরু করার জন্য, ভুল সংশোধনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সবিস্তার জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকে।শুক্রবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬,৪২৪ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫২,১৪,৬৭৮ জন। এখনও চিকিত্‍‌সাধীন রয়েছেন ১০,১৭,৭৫৪ জন। 




রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিশন অন স্টেটাস অফ উওমেন ইকোনমিক নির্বাচনে চিনকে পরাজিত করল ভারত ও আফগানিস্তান। বেজিং সেখানে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ভোটই পায়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস ত্রিমূর্তি এই খবর জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মানজনক মহিলা কমিশনের সদস্য হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

এশিয়া–প্যাসিফিকের দেশগুলির মধ্যে থেকে দু’‌জনকে নির্বাচনের সুযোগ ছিল। ভারত ৫৪টি ভোটের মধ্যে পেয়েছে ৩৮টি ভোট এবং আফগানিস্তান পেয়েছে ৩৯টি ভোট। অর্ধেক সংখ্যক ভোটও পায়নি চিন। তারা ২৭ ভোট পাওয়ায় এই দৌড় থেকে ছিটকে যায়।

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই কমিশনের সদস্য হওয়া যে কোনও দেশের কাছেই অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই ফলাফলের পর টি এস ত্রিমূর্তি টুইটে লিখেছেন, ‘ভারত ইসিওএসওসি–র আসন জিতেছে। ভারত এখন এখানের নির্বাচিত সদস্য। লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও নারী ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি এটা। সমর্থনের জন্য সদস্য দেশগুলিকে ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, এই বছর বেজিং কনফারেন্সের রূপকজয়ন্তী। বিখ্যাত বেজিং ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উওমেন–এর এটা ২৫তম বছর। তার মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিশন অন স্টেটাস অফ উওমেন ইকোনমিকে জায়গা করে নেওয়া ভারতের জন্য যথেষ্ট তাত্‍‌পর্যপূর্ণ।



ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ১০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির উপর নজর রেখেছে চিন। সেই তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং  বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। 

চিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই কাজ করে চলেছে শেনজেনের একটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি। চাঞ্চল্যকর তথ্য হল— চিনের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতের বহু বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে বলে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দাবি করেছে। তারপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

এই ইংরেজি দৈনিকের বক্তব্য, ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর–সহ অন্তত ১০ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে শেংঝেনের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। ওই সংস্থাটি তথ্য সরবরাহ করে চিন সরকার, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি, চিনের সেনা–সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে। 

‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’–এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনীতি, বিনোদন, ক্রীড়া, সংবাদমাধ্যম— এমনকী অপরাধী ও জঙ্গিদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে চিনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন শহরের ‘শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থা। তাদের অন্যতম গ্রাহক শি জিনপিং সরকার, চিনের সেনাবাহিনী পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি এবং চিনের কমিউনিস্ট পার্টি।

এই নজরদারি তালিকায় কারা রয়েছে?‌ প্রতিবেদনে উল্লিখিত নামের তালিকা অনুযায়ী— রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও পরিবারের সদস্যরা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক, রাজস্থানের অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, পাঞ্জাবের অমরেন্দ্র সিংহ–সহ আরও অনেকে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, রতন টাটা, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতি এবং বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের সম্পাদক, ইউপিএ আমলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু এবং বিভিন্ন সাংবাদিক রয়েছেন ওই সংস্থার নজরদারিতে।

ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন। তালিকায় রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ আমলা, বিচারপতি, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, অভিনেতা, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় নেতা ও সমাজকর্মীরাও।এমনকী অর্থনৈতিক অপরাধ, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ এবং নারকোটিকস, সোনা, অস্ত্র ও বন্যপ্রাণ পাচারকারী–সহ কয়েকশো অভিযুক্তকেও নজরে রেখে চলেছে চিনের এই কোম্পানি।  



এবার পশ্চিম ও মধ্য ভুটানের সীমান্ত বরাবর গোলমাল শুরু করেছে চিনের সেনা। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেজিং–থিম্পু ২৫তম রাউন্ডের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসে। তার আগেই চিন–ভুটান সীমান্তের মধ্য ও পশ্চিম সেক্টরে পিপলস লিবারেশন আর্মি গোলমাল পাকাতে শুরু করেছে বলে খবর। এমনকী ভুটানের ভুখণ্ডে চিনের ফৌজের অনুপ্রবেশের অভিযোগও উঠেছে।

চিন দাবি করেছে— ভুটানের পশ্চিম প্রান্তের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার এবং মধ্য ভুটানের সীমান্ত বরাবর ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা তাদের। চিনের লালফৌজ সেখানে সেনা চলাচলের রাস্তা তৈরি করতে চলেছে। লাল ফৌজের এই গতিবিধিতে উদ্বিগ্ন থিম্পু। 

লাদাখের মতো একই পদ্ধতিতে গত ১৩ আগস্ট তোর্সা নালা পার করে ভুটান সীমানায় ঢোকে পিএলএ। রাজা–রানী লেকের থেকে পশুপালকদের সরে যেতে বলে। উত্তর ডোকালামে সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম বসিয়ে নজরদারি শুরু করে দিয়েছে চিন। চুম্বি উপত্যকার পূর্ব ভুটানের প্রায় ৪০ কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে তারা রাস্তা এবং হেলিপ্যাড বানিয়েছে বলে অভিযোগ। 



আধুনিকতায় এখন সমাজ বদলেছে। কিন্তু মানসিকতা সত্যি কী বদলেছে? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বিশ্বে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ফরাসি তরুণীর খোলা চিঠি ভাইরাল হওয়ায় এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বক্ষ বিভাজিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। আর তা নিয়েই নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নারীর ক্লিভেজ বা বক্ষ বিভাজিকা দেখা যাওয়া কী খারাপ? অনেকেই বলেছেন, না। ওটা নারীর সৌন্দর্য পরিস্ফুটিত করে। কিন্তু তরুণীর ইনস্টাগ্রামে খোলা চিঠি বলছে অন্য কথা। তিনি জানান, এক বন্ধুর সঙ্গে জাদুঘরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ঢোকার মুখে টিকিট দেখাতে যাওয়ার সময়ই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী জানিয়ে দেন, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু কেন?‌ তা জানতে চান তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে বলা হয়, আপনার পোশাক অত্যন্ত খোলামেলা। আপনার বক্ষ বিভাজিকা ক্লিভেজ দেখা যাচ্ছে। 

তরুণীর দাবি, এই কথা শোনা মাত্রই অন্যান্যরাও তাঁর বিভাজিকা বা ক্লিভেজের দিকে তাকাতে থাকেন। রীতিমতো লজ্জায় পড়ে যান তিনি। পোশাক বদল করলেই মিউজিয়ামে ঢোকা সম্ভব বলেও জানান ওই নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু মিউজিয়ামে ঢোকার পোশাক–বিধি যখন রয়েছে তা কেন কোথাও উল্লেখ করা নেই?‌ প্রশ্ন করেন তরুণী। উত্তর দেননি মিউজিয়ামের নিরাপত্তারক্ষী। পোশাক বদল করে মিউজিয়ামে ঢোকার প্রস্তাবে রাজি হননি তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে খোলা চিঠি লেখেন।

তরুণীর চিঠি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে একজন তরুণীকে পোশাক নিয়ে বলা হল বলে সমালোচনার ঝড় তুলতে থাকেন সকলে। এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতার সামিল বলেও অভিযোগ করেন অনেকেই। নেটিজেনদের রোষে অস্বস্তিতে পড়ে ওই মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তরুণীর কাছ থেকে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় তারা।



ভারত–আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিল পাকিস্তানকে নিশ্চিত করতে হবে, তাদের অধীনে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চলছে না। এই ইস্যুতে দুই দেশ চেপে ধরায় চাপে পড়েছে পাকিস্তান। ভারত–আমেরিকার সন্ত্রাস দমন কার্যকরী দলের যৌথ ১৭তম সভা থেকে এই কথা উঠে এল। দুই দেশই ইসলামাবাদের কাছে ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং পাঠানকোট হামলার চক্রীদের বিচারের সওয়াল করেছে। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বরের ভার্চুয়াল সভায় ভারতের হয়ে নেতৃত্ব দেন বিদেশ মন্ত্রকের সন্ত্রাস দমন বিভাগের সচিব মহাবীর সিংভি। 

গত ৯–১০ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এই বৈঠকে আয়োজিত হয়েছিল। কড়া নিন্দা করা হয় যে কোনও ধরনের ক্রস বর্ডার টেররিজমের। ভারতের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের যুগ্ম সচিব মহাবীর সিংভি এবং আমেরিকার তরফে ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কো–অর্ডিনেটর ফর কাউন্টার–টেররিজমের নাথান সেলস।

ইসলামবাদকে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ভারত–আমেরিকা দুই দেশের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য—মত বিনিময় হয়েছে। বৈঠকে উঠে এসেছে আল–কায়দা, আইসিস, লস্কর–ই–তৈবা, জৈশ–ই–মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন ইস্যুও। এছাড়াও সন্ত্রাস বিরোধিতায় সুদূরপ্রসারী আলোচনা ও এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 



এবার সামনে এল ফেসবুক সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুনাফা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিদ্বেষ ছড়াতেও পিছপা হয় না ফেসবুক। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সংস্থা থেকে পদত্যাগ করলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার অশোক চান্দওয়ানে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। 

অশোক চান্দওয়ানে ফেসবুক–কে ১৩০০ শব্দের ইস্তফাপত্র লিখে পোস্ট করেছেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অশোক চান্দওয়ানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে হিংসা আর ঘৃণার কারবার করছে ফেসবুক। এটাই এখন তাদের মূল ব্যবসা হয়েছে। এই জঘন্য কাজ করা একটি সংস্থার সঙ্গে তিনি আর যুক্ত থাকতে চান না। তাই চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। এমনকী প্রমাণ হিসাবে কিছু লিংক পোস্ট করেছেন তিনি। 

যদিও অভিযোগ উড়িয়ে ফেসবুকের দাবি, ‘‌আমরা বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুনাফা করি না। বরং তা এড়াতে আমরা সমস্ত সতর্কমূলক পদক্ষেপ করছি।’‌ আর অশোকের বক্তব্য, কেনোশায় একদল উগ্রপন্থী বন্দুক নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর উসকানি দিলেও সেই পোস্টগুলি সরায়নি ফেবসুক। তিনি জানান, আমি এমন সংস্থার হয়ে আর কাজ করতে পারব না, যাঁরা মার্কিব যুক্তরাষ্ট্র–সহ গোটা বিশ্বে বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুনাফা করে। 

ফেসবুকের মুখপাত্র লিজ বুর্গোইস অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে বলেন, ‘‌প্রতিটি সম্প্রদায় যাতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে তার জন্য ফেসবুক প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ করে। আমাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।’‌


 


‘এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না’

মহাভারতের কৌরবদের মতন বিবৃতি বেজিংয়ের

মস্কোয় ভারত ও চিনে দু’দেশের বৈঠকের পরও সীমান্ত বিরোধ মেটার কোনও ইঙ্গিত নেই। বরং শনিবার গোটা পরিস্থিতির জন্য পালটা ভারতকেই দোষী সাব্যস্ত করল চিন। সে দেশের সরকারের তরফে জানানো হল,  এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না চিন। সীমান্ত উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার জন্যও ভারতের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে বেজিং।

শুক্রবারই মস্কোয় চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দু’ঘণ্টার বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আর তার পরপরই শনিবার সকালে চিনের তরফে সরকারি বিবৃতি জারি করে বলা হয় , ‘‘চিন-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা সৃষ্টি, জিইয়ে রাখা ও বাড়িয়ে তোলার জন্য ভারতই পুরোপুরি ভাবে দায়ী। এক্ষেত্রে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না চিন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে চিনা সেনাবাহিনী সক্ষম, আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।’’







সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন বৈঠকে যোগ দিতে মস্কো উড়ে গিয়েছেন রাজনাথ সিং। সেখানেই শুক্রবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বৈঠক হতে পারে ভারত–চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেঙ্গের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বৈঠক হতে পারে বলে খবর। যেখানে আলোচ্য বিষয় হতে পারে চলতি সীমান্তের উত্তেজনা। 

গত জুন মাস থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে উত্তেজনা রয়েছে, তা নিরসনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক চাইছে চিন। রাশিয়ায় রয়েছেন রাজনাথ। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও একই কারণে এখন সেখানেই। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করতে চেয়েছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আসলে বিপদে পড়ে চিন এখন বৈঠক করতে চাইছে।

ভারতও যে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে তা সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সংখ্যাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে। তাই বিপদ বুঝে ভারত–চিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরে বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সুরাহা হলেও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়ে দেয়, ভারত–চিন সম্পর্কে যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার জন্য দায়ী চিন। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জানান, শান্তি ফিরতে পারে কূটনীতির দ্বারাই। তাই রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ভারত–চিনের বৈঠক হলে সুফল মিললেও মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 



চিনের ওপর বেজায় চটেছে আমেরিকা। আগেই হুঙ্কার ছেড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন অবশ্য প্রবল করোনা আবহ ছিল। এবার চিন সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলল আমেরিকা। করোনা পরিস্থিতিতে ফায়দা তুলছে বেজিং। ভারতও যে চিনার লোলুপ শিকারে বাদ পড়েনি, সে কথা জানিয়ে দিলেন মার্কিন কূটনীতিক ডেভিড স্টিলওয়েল।

এই ডেভিড স্টিলওয়েল হলেন মাইক পম্পেও’‌র মন্ত্রকের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহসাগরীয় অঞ্চলের অ্যাসিটেন্ট সেক্রেটারি। ৩৫ বছর মার্কিন বায়ুসেনায় কর্মরত ছিলেন। ২০১১–১৩ সাল নাগাদ চিনের মার্কিন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। তাই চিনের আগ্রাসন নীতি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। তাই দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় দেশগুলির উপর চিনের দাদাগিরি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে স্টিলওয়েল বলেন, ‘‌করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে চিন। ভারত–চিনের বিবাদ তার অন্যতম উদাহরণ।’‌ আমেরিকা এই কথা বলায় চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হল। আর ভারত–আমেরিকা আরও কাছাকাছি এল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাতে চিনের সেনা অতর্কিতে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকার যে প্রচেষ্টা চালায়, দেশের জওয়ান তা কড়া হাতে রুখে দেয়। তারপর থেকেই নতুন করে লাদাখের প্রকৃত সীমান্তরেখায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণে সেনা বিন্যাস করা হয়েছে। প্রকৃত সীমান্ত রেখায় স্থিতাবস্থা ভেঙে চিনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপের একহাত নিয়েছেন স্টিলওয়েল। তাঁর অভিযোগ, এভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলির উপর করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে চিন।

কয়েকদিন আগে চিনের এই কার্যকলাপ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মার্কিন স্টেট অব সেক্রেটারি মাইক পম্পেও। চিনের এই জঙ্গিপনা প্রথম নয়। গত মে মাসে গলওয়ান উপত্যাকায় চিন–ভারতের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখেছিল বিশ্ব। তাই চিনকে কার্যত এবার সমঝে দিল আমেরিকা। এখন দেখার প্রত্যুত্তরে চিন কি করে। 

 


ভারতে নিষিদ্ধ হল পাবজি গেম

নিষেধাজ্ঞা আরও ১১৮ অ্যাপে


পাবজি-সহ আরও ১১৮ টি অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করল কেন্দ্র। এর আগে প্রায় ৬০টি চায়না অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে কেন্দ্র।

 বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ঝুঁকির ধরন বিবেচনা করে ১১৮ টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। যা ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার, ভারতের প্রতিরক্ষা, দেশের সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক


গালওয়ান সংঘর্ষের পর দু'দফায় অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কেন্দ্র। তখন থেকেই নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় পাবজির নাম থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। প্যাংগং সো লেকের কাছে নয়া উত্তেজনার মধ্যে সেই গেমিং অ্যাপের উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপাল কেন্দ্র।
 পাশাপাশি আরও ১১৭ টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।

কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ২০০৯ সালের তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারা অনুসারে ভারতে ১১৮ মোবাইল অ্যাপের উপর নিষেজাজ্ঞা জারি করা হল। চিনের সব অ্যাপ সংস্থাগুলো  সেদেশের আইন অনুসারে  চিনা গোয়ান্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানে বাধ্য। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।


এর আগে টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ার-ইট, উই-চ্যাট, ক্যামস্ক্যানার-সহ ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সব অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই অ্যাপ-নির্মাতাদের তালিকায় রয়েছে টেনসেন্ট, আলিবাবা, শাওমির মতো একাধিক চিনা সংস্থা।









সামাজিক দূরত্ব ছয় ফুট পর্যন্ত বলা হচ্ছে। এই দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা সংক্রমণকে এড়িয়ে চলা যাবে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ঠান্ডা–গরমের তারতম্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত। এই তথ্য উঠে এসেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। সুতরাং সামাজিক দূরত্ব দু’জন মানুষের মধ্যে যে ৬ ফুটের দূরত্বের কথা বলা হয়েছে তা কোনও কাজে দেবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা একটি কমপ্রিহেনসিভ গাণিতিক মডেলের সাহায্য নিয়েছেন। তারই মাধ্যমে রেসপিরেটরি ড্রপলেটের ইভাপোরেশন, হিট ট্রান্সফার এবং প্রোজেক্টাইল মোশন খতিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ভেন্টিলেশন পরিস্থিতিতে। দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের রেসপিরেটরি ড্রপলেটের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন পাথওয়ে শর্ট–রেঞ্জ ড্রপলেট কনট্যাক্ট এবং লং–রেঞ্জ এরোসল এক্সপোজারে বিভক্ত। 

শুধু তাই নয়, গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে, বড় ড্রপলেট মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্যে বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে না। বাতাসের উপরের স্তরেই থেকে যায়। ছোট ড্রপলেট দ্রুত বাষ্প হয়ে এরোসল পদার্থের রূপ নেয় এবং ভাইরাসকে বাতাসে ভাসমান রাখতে পারে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত। এই মডেলের থেকে এই তথ্যই উঠে আসছে সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের নির্দিষ্ট ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব নিরাপদ নয় কিছু আবহাওয়ায়। 

আর সিঙ্গাপুরের ডিউক–এনএসএস মেডিক্যাল স্কুলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, বিটাডিন অ্যান্টিসেপটিক করোনার সংক্রমণ রুখতে কার্যকর। ৮ জুলাই (২০২০) এই বিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড থেরাপি জার্নালে। 




ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব লাদাখ। তবে এবার ঘটনাস্থল গলওয়ান উপত্যকা নয়, প্যাঙ্গং সরোবর। জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। সোমবার এই তথ্যই দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৯–৩০ আগস্টের রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো এলাকায় স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে সামরিক উস্কানির চেষ্টা করেছিল চিন। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দেওয়ায় তা ব্যর্থ হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ অংশে চিনের বাহিনীর আগ্রাসন রুখতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা। স্থিতাবস্থা বদল করার উদ্দেশ্যে প্ররোচনামূলক সামরিক গতিবিধি দেখিয়েছে তারা। সব সমস্যা আলোচনার মধ্যে দিয়ে মেটানোর ব্যাপারে ভারতীয় সেনা বদ্ধপরিকর হলেও, নিজেদের অঞ্চল রক্ষা করার জন্য যে কোনও পন্থা নিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।

ভারতীয় সেনার জনসংযোগ আধিকারিক কর্নেল আমন আনন্দ বলেন, ‘‌আলোচনার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখায় বিশ্বাসী ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে সার্বভৌমত্বের রক্ষায় কোনও সমঝোতা তারা করবে না। চিনের বাহিনীর আগ্রাসন প্রতিহত করতে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে ভারতীয় বাহিনী।’‌ 

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত–চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দু’‌দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে সেনা মৃত্যু হয়। ভারতের কর্নেল–সহ ২০ জন এবং চিনের তরফে ৪৩ জন হতাহত বলে জানা যায়। ভারতের দাবি ছিল, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা না মানার ফলেই লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি, এদিনের ঘটনায় তা বোঝা গেল।






ভুটান এমন একটা দেশ যেখানে জিডিপি’‌র থেকে মানুষের সুখকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে সিগারেট–সহ সব তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারও অপরাধ হিসেবে মনে করে ভুটান। ১৭২৯ সালে প্রথম তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন চালু হয়েছিল ভুটানে। ২০১০ সাল থেকে সেদেশে তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ। তবে ভারত থেকে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে তামাকজাত পণ্য আমদানি করে ভুটান। আর তা কিনতে হলে চড়া হারে করও দিতে হয়। এই ভুটানই এবার তামাকজাত পণ্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হল। যার জন্য দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেশী ভারতকে।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করতে শুরু করে। তখনই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দেয় ভুটান। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। তামাকজাত পণ্যের আমদানিও বন্ধ করে দেয় থিম্পু। তবে চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। করোনা ও লকডাউনের মধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে ভুটানে ঢুকছে সিগারেট–সহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য। সঙ্গে ঢুকছে করোনাভাইরাসও। তাই তামাকজাত পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। 

জানা গিয়েছে, ১২ আগস্ট ভুটানের ফুন্টশিলিংয়ে এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। ওই ব্যক্তি ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করতেন। তাই তামাক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে ভুটান প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একেবারেই সাময়িক। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আপাতত ভুটানেই সিগারেট–সহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন হবে। 




লাদাখ কাণ্ডের পরও শুধরায়নি চিন। বেজিংয়ের পক্ষ থেকে মুখে বলা হচ্ছে তারা সীমান্তে শান্তি চায়। কিন্তু পরিস্থিতি একই থাকছে। এবার বেজিংয়ের অভিসন্ধি এলএসি’‌র কাছে তারা এখন ৫জি পরিকাঠামো তৈরি করবে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।

জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চলছে ফাইবার অপটিক্স কেবল এবং অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ। যা এই অত্যাধুনিক পরিষেবাকে সচল করার জন্য প্রয়োজন। সূত্রের খবর, প্যাংগং লেকের কাছে নতুন করে কাঠামো এবং ব্যারাকও তৈরি করতে দেখা গিয়েছে লালফৌজকে। 

উল্লেখ্য, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে দু’‌দেশের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। যাতে ভারতের ২০ জন সেনা শহিদ হন। চিনেরও বহু সেনার হতাহতের খবর মিলেছে। বিশেষ করে দেপসাং, হটস্প্রিং এবং প্যাংগং লেকের মতো জায়গায় তাদের ফের দেখা যাচ্ছে। 

ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ডেমচকের কাছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ৫জি’‌র পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের বার্তা শোনা গেল ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং–এর গলায়। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র একটি ঘটনার ভিত্তিতে প্রতিবেশীকে শত্রু চিহ্নিত করে ফেলা উচিত নয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আগেই বলতে শোনা যায়, সমাধান হলে তা আগের সমঝোতা অনুযায়ীই হবে। নতুন করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়।






ভারত–চিন সম্পর্ক অহি–নকুল। গলওয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসন নীতির জন্যই তা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের রক্তচক্ষুর জবাব দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী চিনের অর্ধেক মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছে সেদেশের সরকারি মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস।

সমীক্ষায় চালিয়ে গ্লোবাল টাইমস দেখেছে, ৫০ শতাংশ চিনের নাগরিকই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি নাগরিক নিজের দেশের সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। চিনের ৭০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন বিগত কয়েকদিনে ভারত–চিন সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। চিনের প্রতি ভারতীয় নাগরিকরা বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আবার ৩০ শতাংশ চিন নাগরিকের বিশ্বাস ভবিষ্যতে ভারত–চিন সম্পর্ক ভালো হবে। 

উল্লেখ্য, গলওয়ান উপত্যকার ঘটনার পরই ভারতে চিনের দ্রব্য বয়কটের ডাক জোরালো হয়েছে। তার প্রভাব চিনের অর্থনীতে বেশ ভালভাবেই পড়েছে। ভারতের মতো বিশাল দেশের বাজার হারাতে হয়েছে শি জিনপিং সরকারকে। চিনের সাধারণ নাগরিকদের মনে সরকারের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারই প্রতিফলন গ্লোবাল টাইমসের সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে।




কোনও মিরাকেল না হলে আর হাঁটাচলা করতে পারবেন না কৃষ্ণাঙ্গ জেকব ব্ল্যাক। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের গুলিতে পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন তিনি। অস্ত্রোপচারের পরেও এই কথাই শোনালেন চিকিত্‍‌সকেরা। এই দুঃসংবাদ দিয়েছেন ব্ল্যাকের আইনজীবী বেন ক্রাম্প। গত রবিবার আমেরিকার উইসকনসিনের কেনোশা শহরে এই ব্ল্যাককে অকারণে গুলি করে পুলিশ। 

সন্তানরা চোখের সামনে দেখে পুলিশের গুলিতে নির্দোষ বাবাকে ঘায়েল হতে। সেলফোনে তোলা ঘটনার ভিডিও ক্লিপিংস সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ায় সোমবার থেকে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে আমেরিকা। কেনোশা শহরে কার্ফু জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। জেকব ব্ল্যাকের আইনজীবী বলেন, ‘‌ব্ল্যাকের শরীর প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছে। আবার হাঁটতে পারলে সেটা হবে মিরাকল।’‌

যে শ্বেতাঙ্গ অফিসার নির্দোষ, নিরাপরাধ জ্যাকব ব্ল্যাককে রবিবারগুলি চালিয়েছেন, তাঁকে যাতে গ্রেপ্তার করা হয়, তার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁর আইনজীবী। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও যাতে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়, ব্ল্যাকের পরিবারের পক্ষ থেকে সে দাবিও জানানো হয়েছে। পুলিশ পেছন থেকে গুলি করায় গুলি লাগে ব্ল্যাকের মেরুদণ্ডে। টুকরো টুকরো হয়ে যায় মেরুদণ্ড। তাই অস্ত্রোপচারের পরেও শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারবেন না কেনোশা শহরের এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। 



ইসলামি স্বর্ণযুগের রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান পাওয়া গেল ইজরায়েলে। মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল শত শত স্বর্ণমুদ্রা। যক্ষের ধন? সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অজানা। তবে মাটির ঘড়ায় স্বর্ণমুদ্রা, বেশ একটা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সে দেশের ইয়াভনে শহরের কাছে খননকাজ চালানোর সময় এই বিপুল সম্পদের সন্ধান পান একদল স্বেচ্ছাসেবক বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

খনন কার্যের দায়িত্বে থাকা লিয়াত নাভাদ–জিভ জানান, আনুমানিক ১,১০০ বছর আগে যিনি এই স্বর্ণমুদ্রা মাটির তলায় পুঁতে দিয়েছিলেন। যাতে এই পাত্র অন্যত্র সরে না যায়, তার জন্য সব ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর এই পাত্র পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা ছিল। তবে এই এত স্বর্ণমুদ্রার আসল মালিক কে, তা এখনও অজানা। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র দেশে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের চোরাচালান রোখার দায়িত্ব ইজরায়েল অ্যান্টিকস অথরিটি'র উপরে। পাশাপাশি এই সংস্থা দেশজুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং গবেষণার প্রসারের কাজেও নিয়োজিত।

গুপ্তধনের খোঁজ দেওয়া সেই তরুণদের মধ্যে ছিলেন ওজ কোহেন। তিনি বলেন, ‘‌আমি যখন মাটি খুঁড়ছিলাম, দেখলাম একটি পাতলা পাতার মতো। যখন আবার দেখলাম দেখি স্বর্ণমুদ্রা।’‌ প্রতিটি মুদ্রা খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি। এর মধ্যে অধিকাংশই ১,১০০ বছর পুরনো আব্বাসীয় আমলের বলে অনুমান। উদ্ধার সম্পদের মধ্যে ছোট আকারের স্বর্ণমুদ্রার বিপুল টুকরো পাওয়া গিয়েছে। সেই আমলে এগুলি স্বল্প মূল্যের মুদ্রা ছিল বলে ইজরায়েলি বিশেষজ্ঞদের অভিমত। নবম শতাব্দীর শেষার্ধ ছিল আব্বাসীয় খিলাফতে স্বর্ণযুগ। এই সময় সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তার ঘটেছিল। 

Author Name

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
satta king tw