কাঁথিতে তীব্র করোনা আতঙ্ক ,
প্রতিরোধে ৭ দিন বন্ধ বাজার
একের পর এক করোনা আক্রান্তের ঘটনা সামনে আশার পর তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনপুরের কাঁথি শহরে।
এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখতে
হলে নিচের 'প্লে বাটনে' ক্লিক করুন...
শুক্রবার শহরের আরও দুই ব্যাবসায়ী করোনা আক্রান্ত হন। এই ঘটনা সামনে আসায় নড়েচড়ে বসে কাঁথার ব্যাবসায়ী মহল। সবার ধারণা হয়, ওই দুই ব্যবসায়ীর থেকে আরও বেশ কিছু ব্যবসায়ীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্যই বাজার বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেন বেশীরভাগ ব্যাবসায়ী। কাঁথি পৌর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আপাতত কাঁথি বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেন ব্যাবসায়ী মহল। ঠিক হয়েছে , আপাতত আগামী সাত দিন বন্ধ থাকবে কাঁথি বাজার।
শুরুটা হোয়েছিল বুধবার, কাঁথি শহরের আঠিলাগড়ির এক সাইকেল ব্যবসায়ীর করোনা সংক্রমণ দিয়ে। এর পর একের পর এক সামনে আস্তে থাকে আরও নতুন নতুন সংক্রমণ এর ঘটনা। বৃহস্পতিবার কাঁথি পৌর সভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা তথা কলকাতা পুলিশ এর কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। এরপর শুক্রবার একসঙ্গে চার চারজনের করোনা আক্রান্ত হন। এর মধ্যে আছেন দুজন ব্যাবসায়ী । বাকি দুজন হলেন আগেই করোনা আক্রান্ত সাইকেল ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও মেয়ে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রীতিমতন চরম আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে কাঁথি শহরের মানুষের মনে।
এখানেই শেষ নয় । শুক্রবারের পর শনিবারও নতুন করে দুই ব্যবসায়ীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। এর মধ্যে একজন ডিম ও একজন মাছ ব্যাবসায়ী বলে প্রাথমিভাবে জানা গিয়েছে। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন করোনা আক্রান্তের ঘটনার খবর কাঁথি শহরের মানুষের মনে আতঙ্কের হিমেল স্রোত বইতে শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতিতে কাঁথি শহর ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক জগদীশ দিন্দা জানান, পুরো পরিস্থিতি নিয়ে কাঁথির পৌরপিতা সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনার পরেই বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই যে বাজার বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন, সেটাও জানানো হয় সৌমেন্দু বাবুকে।
Post a Comment