July 2020


ইদের দিনই গোরক্ষদের তাণ্ডবে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল। কোরবানির ইদে দাপাদাপি শুরু হল স্বঘোষিত গোরক্ষকদের। গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার গুজব আর সন্দেহের বশে এক ট্রাকচালকের ওপরে হাতুড়ি নিয়ে হামলা করল তারা। এই হিংসার ঘটনা এখন চাউর হয়ে গিয়েছে। আর ঘটনাস্থলে থাকলেও নীরব দর্শকের বেশি কিছু ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি পুলিশকে। ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সর্বত্র। 
এদিন সকাল ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। হরিয়ানার গুরুগ্রামে মাংস ভর্তি একটি পিক–আপ ট্রাককে তাড়া করে ধরে ফেলে একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ট্রাকচালক লুকমানকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী হাতুড়ি দিয়েও আঘাত করা হয় তাঁকে। হাতুড়ির আঘাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে লুকমান। কেউ এগিয়ে আসেনি। পুলিশও কোনও পদক্ষেপ করেনি। 
আরও অভিযোগ, অপরাধীদের ধরার থেকেও বেশি দ্রুততায় ওই মাংস ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠায় পুলিশ। গরুর মাংস রয়েছে না কি অন্য কিছুর সেটা বোঝার জন্য। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গোমংস রাখার গুজবে গণপিটুনির ঘটনাতেও ঠিক এমনই ভূমিকা পালন করেছিল পুলিশ। এদিকে আহত লুকমানকে ওই ট্রাকে তুলেই গুরুগ্রামের বাদশাপুর গ্রামে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করা হয়। যদিও তখন বাধা দেয় পুলিশ। 
অন্যদিকে লুকমানকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় পুলিশ। এই অঞ্চলে অতীতের এমন ঘটনার যা রেকর্ড রয়েছে, তাতে অপরাধীরা আদৌ ধরা পড়বে কি না, আর ধরা পড়লেও শাস্তি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। ট্রাকের মালিক জানান, তিনি ৫০ বছর ধরে মাংসের ব্যবসা করছেন। ওই ট্রাকে গরুর নয়, মোষের মাংস ছিল। ২০১৮ সালে গণপিটুনিতে খুনকে ‘ঘৃণ্য’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা রুখতে নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। তবুও কাজ বিশেষ হয়নি তা দেখিয়ে দিল গুরুগ্রাম।

করোনা আক্রান্তদের সেবায় করোনা জয়ীরা

 কোলাঘাটে আজ ৪ জন করোনা বক্রান্ত রোগী যারা কিছুদিন আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যাকে বলা যেতে পারে জীবন মরন যুদ্ধে জয়লাভ করার পর আজ তারা নতুন কর্মজীবনে প্রবেশ করলো। রাজ্যসরকারের নতুন নিয়মে করোনা আক্রান্ত সুস্থ রোগীদের কর্মসংস্থানের লক্ষে তাদের রাজ্যের যেকোন কোভিড হাসপাতালে তাদের মাসিক ১৫ হাজার টাকাতে কাজে নিয়োগ করা চলছে। 

এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখতে হলে নিচের  'প্লে বাটনে' ক্লিক করুন...

আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম ৪ জন সুস্থ করোনা রোগী তাদের কোলাঘাট ব্লক থেকে বিডিওর উদ্যোগে পাঠানো হলো কোলকতায় স্বাস্থ্যভবনে। কোলাঘাটের বিডিও মদন মোহন মন্ডল জানান,আজ ৬ জন যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কোনকারনে ২ জন না আসায় ৪ জনকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে নিয়ে যাওয়া হয় এরপর এদের প্রশিক্ষন দিয়ে রাজ্যের যেকোন কোভিড হাসপাতালে কর্মনিয়োগ করা হবে। সবমিলিয়ে ৪ জন ব্যক্তি আগে মুম্বইএ স্বর্নশিল্পী ছিলেন। বর্তমানে নতুন কাজে নিয়োগ হয়ে খুশি ৪ করোনা থেকে মুক্ত হওয়া ব্যক্তি। তবে আবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় লড়তে যাচ্ছেন এই ৪ ব্যক্তি।



বাজারে এখন গরুর সংকট। হাটে যে কটি গরু আছে, তার দামও চড়া। ঈদের আগে অনেকেই শনির আখড়া গরুর হাটে এসেছেন। কিন্তু মানুষজন কল্পনাও করতে পারেনি গরুর এমন সংকট হবে। গরুর সংকট থাকায় যে কটি গরু বাজারে আছে, তার দাম অনেক বেশি। শুক্রবার সরেজমিনে শনির আখড়া গরুর হাটে দেখা গেল গরুর সংকটের চিত্র। 
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনির আখড়ার গরুর হাটে গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন গরুর সংকট দেখা যায়নি। গতকাল রাত ১০টার পর থেকে হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। রাত তিনটা নাগাদ হাটের অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়ে যায়। গরুর সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। যে পরিমাণ ক্রেতা হাটে আছে, সেই তুলনায় গরুর সংখ্যা একেবারেই কম।
বাজার ফেরত ক্রেতার দাবি, ছোট সাইজের গরুটির দাম নিয়েছে ৮০ হাজার টাকা। অথচ এই গরুর সর্বোচ্চ দাম হবে ৫০ হাজার টাকা। বাজারে গরু না থাকায় গরুর দাম অনেক চড়া। বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এছাড়া
ফরিদপুরের হাটে গরুর সংখ্যা একেবারেই কম। চাহিদা বেশি থাকায় গরুর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। শনির আখড়ার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে দেখা গেল গুটিকয়েক গরু সেখানে বাঁধা আছে। অথচ ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। শনির আখড়া গরুর হাটের মতো পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা গরুর হাটেও গরু নেই। 


টলিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় ফতোয়া

বন্ধ প্রিয় সিরিয়ালের শুটিং

আচমকা ফতোয়ায় শুটিং বন্ধ রাসমণি-কাদম্বিনীদের। শুক্রবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল জি বাংলা এবং সান বাংলা-র সব ধারাবাহিকের শুটিং । ফেডারেশন এবং চ্যানেল কতৃপক্ষের মধ্যে আর্থিক বিবাদকে কেন্দ্র করে আজ থেকে টালিগঞ্জে জি ও সান বাংলা এই দু'টি টেলি চ্যানেলের সব ধারাবাহিকের শুটিং আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

চলতি অতিমারির সময় শুটিং বন্ধ থাকায় চ্যানেলের পক্ষ থেকে টেকনিশিয়ানদের কিছু আর্থিক সহায়তা করার কথা থাকলেও আজও তারা সেই অর্থ পাননি বলে ফেডারেশনের সম্পাদক স্বরূপ বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন। 

পাশাপাশি অনেক চ্যানেল কতৃপক্ষ পূর্বশর্ত অনুযায়ী কলাকুশলীদের কোভিড বীমা সংক্রান্ত বিষয়টিও এখনও সম্পূর্ন করেনি বলে তিনি জানান। অন্যদিকে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির মাধ্যমে কলাকুশলীদের যে আর্থিক সহায়তা করা হবে তা পেতে কিছুটা সময় লাগবে বলে চ্যানেল কতৃপক্ষ জানিয়েছে। 


আর এই বিবাদের জেরেই আজ থেকে দুটি চ্যানেলে সম্প্রচারিত সব ধারাবাহিকের শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে গত ১১ জুলাই থেকে টালিগঞ্জে সিনেমা ও টেলি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হয়েছিল।



বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে কেন?‌ এই প্রশ্ন এখন সবার জিজ্ঞাস্য। কিন্তু এই প্রশ্নের সরল উত্তর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস। তাঁর মতে, বেশ কিছু দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী যুবসমাজ। এই যুবসমাজের বেপরোয়া আচরণেই সংক্রমণ অনেক বেশি করে ছড়াচ্ছে। এমন উত্তরে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে যুবসমাজ ক্ষেপে উঠেছে বলে খবর। 
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এই প্রসঙ্গেই হুয়ের প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস বলেন, ‘‌সতর্কতা কমিয়ে দিয়েছে যুবসমাজ। তার ফলই ভুগতে হচ্ছে বাকিদের।’‌ এই সরাসরি যুবসমাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন তিনি বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ তিনি বলেন, ‘‌যুবসমাজ অপরাজেয় নয়। তাঁদেরও ঝুঁকি রয়েছে। এই ভাইরাসের ঝুঁকির ব্যাপারে তাদের বোঝানোতে অনেক গাফিলতি রয়ে গিয়েছে।’‌ উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মের অনেক দেশের যুবসমাজ বেপরোয়া আচরণ করেছে। সেই কারণেই কিছু কিছু দেশে করোনার বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান গেব্রেইয়েসাস।
করোনা সংক্রান্ত প্রযুক্তি বিভাগের আধিকারিক মারিয়া ভ্যান কেরকোভে জানান, কিছু কিছু দেশে নাইটক্লাবগুলি এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হটস্পট হয়ে উঠেছে। তাঁর ইঙ্গিত যে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যুবক–যুবতীদের সতর্ক করে হু–এর প্রধান বলেন, ‘‌যুবসমাজ সংক্রমিত হতে পারে, তাদের মৃত্যু হতে পারে, তারা অন্যদের ভাইরাস ছড়িয়েও দিতে পারে।’‌ আর এই বিতর্ক এখন কতদূর পৌঁছয় সেটাই দেখার। 


ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। অভিযোগ, ল্যাবের এক টেকনিশিয়ান ওই মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করেন। অমরাবতী থেকে দেশ প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি (প্রতিভা পাটিল) পেয়েছিল। সেই অমরাবতীতেই এমন জঘন্য ঘটনা! নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ল্যাব টেকনিশিয়ানকে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রের মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী যশোমতি ঠাকুর এমন ঘটনায় স্তম্ভিত। 
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী অমরাবতীর এক শপিং মলে কর্মরত। ২৪ জুলাই তাঁদের এক স্টাফের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। তারপর মলের জনা ২৫ স্টাফ অমরাবতীর ওই ল্যাবে গিয়ে সোয়াব টেস্ট করাতে যান। ওই ২৫ জনের মধ্যে অভিযোগকারিণী মহিলাও ছিলেন। অমরাবতীর ওই ল্যাবে ২৫ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ওই ল্যাব টেকনিশিয়ান অভিযোগকারীনিকে আলাদা করে ডেকে নেন। তার পর তাঁর প্রাইভেট পার্টস থেকে সোয়াব সংগ্রহ করার অছিলায় শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান সেই মহিলা। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। 
স্থানীয় বাদনেরা থানার ইনস্পেক্টর বানজারি সংবাদসংস্থাকে জানান, অমরাবতীর ওই মলের ২৫ জন স্টাফের নাক থেকে সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর ওই মহিলাকে আলাদা করে ডেকে, কোভিড টেস্টের অছিলায় ফের গোপনাঙ্গ থেকে সোয়াব সংগ্রহ করে অভিযুক্ত। ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ (৩৭৬) ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ প্রশাসন। অমরাবতীর কালেক্টর শৈলেশ নাভালও অভিযুক্তের শাস্তির ব্যাপারে উঠেপড়ে লেগেছেন।


বীরভূম জেলার শেষ কথা তিনি। বহু বিতর্কে জড়িয়েছেনও তিনি। আর করোনা, লকডাউনের আবহেও সেই বিতর্কের ছায়া তাঁর পিছু ছাড়ল না। হ্যাঁ, তিনি রাঢ়বাংলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। এই অনুব্রত মণ্ডল ফরমান দেন, শুক্র ও শনিবার লকডাউন হবে না। বীরভূমের স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বসেই এই ফরমান জারি করেছেন তিনি। ঘটনা নিয়ে স্থানীয় স্তর থেকে বাংলার রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল পড়েছে। বিতর্ক ঘিরে বিরোধীরা ক্রমেই চেপে ধরছে ঘাসফুল নেতৃত্বকে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইদ আছে। তাই দুটি দিন বাজার সারাদিন খোলা থাকবে। ২ আগস্ট বেলা ৩টে থেকে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত লকডাউন হবে। যতদিন বীরভূমের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হচ্ছে, ততদিন এই নিয়ম চলবে। এই বার্তা অবশ্য কোনও প্রশাসক, আইপিএস বা আইএএস কর্তার নয়। বরং তৃণমূলের স্থানীয় পার্টি অফিসে বসে এই বার্তা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়ে প্রবল বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বঙ্গের রাজনীতিতে।
এমনকী অস্বস্তিতে বীরভূম প্রশাসন। বিরোধীদের দাবি, এভাবেই প্রশাসন ও পুলিশকে ঘাসফুলের দলদাসে পরিণত হচ্ছে। বকলমে বীরভূমের ক্ষমতা কার হাতে রয়েছে তা অনুব্রতর বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বীরভূমে যে প্রশাসন অনুব্রত মণ্ডলই চালাচ্ছেন তা এই লকডাউনের ঘোষণা থেকেই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন। উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বীরভূমে লকডাউনের ঘোষণা প্রশাসন আগে করেছিল। তারপর অনুব্রতর বার্তা বিতর্ককে উস্কানি দিয়েছে।






পিপিই পরে এসে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে বেডে শুয়ে থাকা করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগিণীর গলার হার এবং আংটি ছিনতাই করল দুই দুষ্কৃতী। ভরদুপুরে করোনা ওয়ার্ডে পিপিই পরে ঢুকে করোনা আক্রান্ত এক মহিলার সোনার হার–আংটি ছিনতাইয়ের অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল জুড়ে। বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ প্রথমে চুক্তিভিত্তিক অল্পসময়ের দুই কর্মীকে আটক করে। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় মেডিকেলের রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
সূত্রের খবর, সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ৭৭২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রোগীর সঙ্গে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে মেডিকেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা নজরে আসে এক নার্সের। তিনি কৈফিয়ত চাইতেই পিপিই পরে থাকা দুই দুষ্কৃতী পালাতে থাকে। তাড়া করেও ধরতে পারেননি পিপিই পরে থাকা ওই নার্স। তিনি খবর দেন সুপারের অফিসে। চিকিৎসাধীন ওই রোগিণীর বাড়ি বসিরহাটে। বয়স ৪৮ বছর। করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার দাবি, পিপিই পরে দু’‌জন এসে বলে, সোনার যা পরে আছেন, তা দিয়ে দিন। আপনার পরিবারকে দিতে হবে। মহিলা তা দিতে অস্বীকার করায় রীতিমতো হাত থেকে জোর করে খুলে নেওয়া হয় আংটি, গলার হারও। এরপর সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। 
সুপার অবশ্য এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিকেলেই এর আগে করোনায় আক্রান্ত মৃত তরুণীর বেড থেকে মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছিল। কলকাতার যে কোনও বড় সরকারি হাসপাতালকে না বেছে নিয়ে স্বাস্থ্য–শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যার কথা মেনে নিয়েও কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেই শেষ পর্যন্ত কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। তার কারণ ঐতিহ্যশালী এই প্রতিষ্ঠানের উপর সাধারণ মানুষের বিপুল আস্থা। এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই এসব ঘটনা ঘটছে। 


আর দিন পনেরো পর দেশের স্বাধীনতা দিবস। জম্মু–কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শেষ গ্রাম কেরন। ৭২ বছরে এই প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পাবেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। যা বিরল ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামে বিদ্যুৎ থাকত না। বছরের পর বছর এভাবেই কেটেছে। তবে এবার সবুরে মেয়া ফলবে। 
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৭২ বছর ধরে ১২০০ বাসিন্দার এই গ্রামে দিনে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ থাকত— সন্ধ্যে ছ’টা থেকে রাত ন’টা। আর যাঁদের মুরোদে কুলায় তাঁরা ডিজেল–চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে আলো জ্বালে এই গ্রামের ঘরগুলিতে। ফলে বেশিরভাগ সময়েই এই গ্রামের বাসিন্দাদের অন্ধকারেই কাটত। অন্ধকারকেই সঙ্গী করে জীবন কাটাতেন এখানের মানুষেরা। 
জানা গিয়েছে, গ্রামে একটি পাওয়ার গ্রিড ছিলই। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ আসত না। উলটে জেনারেটর চালানোর কারণে বায়ু আর শব্দ, দুই ধরনের দূষণই হত। কিন্তু এবার এই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। গত এক বছর ধরে সীমান্তের এই গ্রামটাকে বৈদ্যুতিন করা হয়েছে। অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানান কুপওয়ারার জেলাশাসক অনশুল গর্গ।
অনশুল গর্গ বলেন, ‘‌এই বছর শীতের আগেই যাতে রাস্তার কাজ শেষ করা যায়, বর্ডার রোডস্‌ অর্গানাইজেশনকে তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’‌ কুপওয়ারা জেলায় ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা এখানে নিত্য সহচর। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সব গ্রামই নির্বাচনের সময়ে ঢেলে ভোট দেয়। কিন্তু বিদ্যুৎ পায় না। জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসনের দাবি, শুধু এই কেরন গ্রামেই নয়, জম্মু–কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত অনেক প্রত্যন্ত গ্রামেই উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে সেই কাজে আরও গতি আনা হবে।


বৃহস্পতিবার গুগলের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগ উঠল। ভিডিও কনফারেন্স কলে চার মার্কিন সংস্থার কর্তা! যথা– গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ, অ্যাপেল সিইও টিম কুক আর আমাজন কর্তা জেফ বেজোস। তাঁদের এবার মার্কিন কংগ্রেসের বিচারবিভাগীয় সাব কমিটিতে প্রশ্নের মুখে শীর্ষ কর্তারা। লাগাতার চলল সওয়াল–জবাব। যা জানতে উত্তেজিত নেট–পাড়া।
জানা গিয়েছে, এই সংস্থাগুলির বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ত্রুটি, সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ এই মার্কিন কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় সাব কমিটিতে আলোচিত হয়। এবারেও এই কমিটিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরির মতো গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হতে হল গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইকে। সবার সামনে এমন অভিযোগ শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
মার্কিন কংগ্রেস সূত্রে খবর, মার্কিন অ্যান্টি ট্রাস্ট কমিটির প্যানেলে নানা ত্রুটি–অসঙ্গতির জন্য সবাইকেই প্রশ্নবানে বিদ্ধ হতে হয়। অ্যান্টি ট্রাস্ট কমিটি জানতে চায়, সারা বিশ্বে গুগলের কোটি কোটি গ্রাহক। তবু সংস্থাকে কেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করতে হচ্ছে? বেজায় চাপে পড়ে যান সুন্দর পিচাই। অ্যান্টি ট্রাস্ট কমিটি গুগল সিইও’‌র কাছে জানতে চায়, কেন তাঁর সংস্থা বাজার ধরার জন্য অন্যান্য সংস্থার রিভিউয়ের তথ্য চুরি করে? গুগলের মতো সংস্থা কীভাবে এমন কাজ করতে পারে?
এই প্রশ্নের উত্তরে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানান, বাজার ধরতে গুগলের মতো সংস্থার কখনই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করার প্রয়োজন পরে না। গুগল সর্বদাই নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করে। সংস্থা জানে কীভাবে প্রযুক্তির মান ধরে রাখতে হয়। মার্কিন ডেমোক্র‌্যাট এবং অ্যান্টি ট্রাস্ট সাব কমিটির প্রশ্নের থেকে বাদ যাননি ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গও। তাঁকে সেখানে প্রশ্ন করা হয় বিজ্ঞাপনের কৌশল নিয়ে। তারপরে জেফ বেজোসকেও বাজার দখলের লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কোনও অর্থনৈতিক পন্থা নেওয়া হয় কিনা, তাও জিজ্ঞাসা করা হয় এই কমিটির পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে চাপেই কাটে আজকের দিনটি।


জঙ্গিদের সঙ্গে সম্মুখসমরে অসম রাইফেলসের তিন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। ভারত–মায়ানমার সীমান্তের সাজিক তম্পক গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই সংঘর্ষের জেরে আরও পাঁচ সেনা গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন বলেও খবর। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। প্রাথমিক অনুমান মণিপুরের চান্ডেল জেলার মায়ানমার সীমান্তের কাছে আগে থেকেই ওত পেতে বসেছিল জঙ্গিরা। অসম রাইফেলসের ১৫ জন জওয়ান টহল দিতে যেতেই হামলা চালায় তারা। এই হামলার ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে পিপলস লিবারেশন আর্মির হাত রয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মায়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের চান্দেল জেলায় প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসবাদীরা। এরপর সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে চালাতে থাকে এলোপাথাড়ি গুলি। পালটা গুলি ছোঁড়েন জওয়ানরাও। দু’‌পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলিবিনিময় হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ যায় অসম রাইফেলসের অন্তত তিন জওয়ানের। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, হামলাকারীরা প্রথমে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় তারপর গুলি চালায়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মায়ানমার সীমান্তে পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত সহযোগীতা। খবর পেয়েই ইম্ফল থেকে ১০০ কিমি দূরে ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিরাট বাহিনী। স্থানীয় কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।
সূত্রের খবর, উত্তর–পূর্ব সীমান্তের এই সংগঠন পিএলএ’‌র সঙ্গে চিনের আঁতাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওই অংশে স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৭৫০ জন অসম রাইফেলের কর্মী শহিদ হয়েছেন।  এই বছরই এনআইএ ৬ পিএলএ জঙ্গির বিরুদ্ধে অসম রাইফেলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে চার্জশিট এনেছিল।


মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মৃত্যু নিউমোনিয়ায়। কিন্তু করোনা সন্দেহে দাহ করতে অস্বীকার করল শ্মশান কর্তৃপক্ষ। দেহ নিয়ে পাঁচ ঘণ্টা চলল কাকুতি–মিনতি। কিন্তু শশ্মান কর্তৃপক্ষের অনড় মনোভাবে শেষে ইলেকট্রিক চুল্লিতে মৃতদেহ ঢুকিয়ে সৎকারের কাজ করল পরিজনই। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে। এখন এই ঘটনা গোটা জেলায় লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দি–কাশি, পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন পেশায় ভ্যানচালক উত্তম নস্কর (৩৭)। বাড়ি জয়নগর থানার চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হোগল ডহরি গ্রামে। তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে তৎক্ষণাৎ করোনা পরীক্ষা করান চিকিৎসকরা। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই গভীর রাতে মৃত্যু হয় উত্তমের। তারপর মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কীর্তনখোলা মহাশ্মশানে। জমা করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃতদেহের সঙ্গে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল নিউমোনিয়ার কথা। কিন্তু কেউ সৎকার করতে এগিয়ে আসেনি। 
দাহ করতে অস্বীকার করে শ্মশান কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, মৃত্যুর কারণ যখন নিউমোনিয়া, তখন করোনার সম্ভাবনা বেশি। করোনা রিপোর্ট আসেনি, এই খবর শুনে বেঁকে বসেন মহাশ্মশানের দায়িত্বে থাকা সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ শ্মশানের অন্যান্য কর্মীরা। শ্মশান কর্তৃপক্ষ অনড় থাকায় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে যোগাযোগ করতে শুরু করে মৃতের পরিজন। কিন্তু শ্মশান কর্মীদের মনোভাব বদলায়নি।
তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের লোকজনই দেহ কোনওরকম ইলেকট্রিক চুল্লিতে পৌঁছে দেয়। দাহ সম্পন্ন করে ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান ছাড়াই। মৃতের ভাই অশোক নস্কর বলেন, ‘‌দাদা পেটে ব্যথা, জ্বর–কাশি নিয়েই ভর্তি হয়েছিল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তার মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা দাহ করতে এসেছিলাম মহাশ্মশানে। করোনার সার্টিফিকেট দেখাতে পারিনি বলে কেউ দাহ করতে এল না।’‌ 


জট অবশেষে কাটল। শেষপর্যন্ত রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রর কথা মতোই ঠিক হল রাজস্থান বিধানসভা অধিবেশনের দিন। দ্রুত রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ তিন তিনবার ফিরিয়ে দেওয়ার পর এবার রাজি হলেন রাজ্যপাল। ১৪ আগস্ট বিধানসভার অধিবেশন বসছে বলে খবর।
রাজ্যপালের নোটিশে জানানো হয়, ১৪ আগস্ট রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসবে। বিধানসভার পঞ্চম অধিবেশন শুরু করার রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল। করোনা পরিস্থিতিতে যে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর রয়েছে তা মেনে চলতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রথমে ২৩ জুলাই রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে বিধায়কদের কাছে অন্তত ২১ দিনের নোটিশ পাঠানোর কথা বলেন রাজ্যপাল। তারপর শেষ পর্যন্ত ১৪ আগস্টে শিলমোহর দেন তিনি।
এই শিলমোহর পাওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজস্থানে চলা রাজনৈতিক টালবাহানা অন্যত্র মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। দলের বিধায়কদের এক বৈঠকে তিনি জানান, যেসব বিধায়ক বিদ্রোহ করেছেন তারা চাইলে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসতে পারেন। হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেওয়া হবে। শচীন পাইলট–সহ ১৯ বিধায়ক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর একসময় যে অনড় অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছিলেন সেখানে আর টিকে থাকতে পারলেন না তিনি। এখন দেখার এই অধিবেশনে শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা উপস্থিত থাকেন কিনা।





 





বুধবার ভোরে রাজধানী ঢাকার পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এতে চার পুলিশ সদস্য–সহ পাঁচজন আহত হন। সকাল সাতটা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে রয়েছেন পল্লবী থানার ইনস্পেকটর ইমরান (৪৮), এসআই সজীব (৩০), পিএসআই অঙ্কুশ (২৮) এবং পিএসআই রুমি (২৮)। রিয়াজ (২৮) নামের এক পুলিশের সোর্সও আহত হয়েছেন। তাঁর বাম হাতের কবজি–ডান হাতের একটি আঙুল কাটা গিয়েছে।
কী থেকে বিস্ফোরণ তা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় জানান, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গিযোগ নেই। তবে তাঁকে ভুল প্রমাণ করে দিল অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্ফোরণে থানার ডিউটি অফিসারের ঘরের জানালা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ হয়েছে। 
পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পরপরই থানায় দায়িত্বরত পুলিশ–সদস্য ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ডের তদন্তকাজে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।
সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাটজ টুইট করে জানান, পল্লবী থানার বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন আইসিস। সম্প্রতি বাংলাদেশের পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল, পুলিশকে টার্গেট করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। যে কোনও সময় থানা বা পুলিশি জমায়েতে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। বাংলাদেশে নাশকতার ছক কষছে ইসলামিক স্টেট ও (আইএস) ও জেএমবি’‌র সদস্যরা। সেই আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল।
এদিকে রাজধানীর মীরপুরের পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতের দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে মীরপুরের কালশি কবরস্থান এলাকা থেকে তিন জঙ্গিকে আটক করা হয়। যাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি এবং ওয়েটমেশিনের মতো একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়। এই বস্তুটি পরীক্ষার জন্য সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপকে ডাকা হয়। তারই মধ্যে থানার পুলিশ সেটি পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র 

প্রয়াত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র । বুধবার মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বর্ষীয়ান এই নেতা । তাঁর বয়স হয়েছিল 76 বছর । কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন । তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক, নার্সিংহোম সূত্রে এই খবর আগেই জানানো হয়েছিল । 

এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখতে হলে নিচের  'প্লে বাটনে' ক্লিক করুন...


মূলত তাঁর শরীরে বসানো পুরাতন পেসমেকার পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যেই নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি । আপাতত তাঁর ডায়ালাইসিস চলছিল । শরীরে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল । 


যদিও মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল । এমনকি সোমেন বাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার নার্সিংহোমের ভেতরে তিনি অল্পবিস্তর হাঁটাচলাও করেছেন । স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী সঙ্গে। কিন্তু বুধবার বেশি রাতের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সোমেন মিত্র । আর এর কিছু সময়ের মধ্যেই প্রয়াত হন প্রদেশ কংগ্রেসের এই বর্ষিয়ান সভাপতি । প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে রাতেই এক টুইট বার্তায় প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার খবর জানানো হয় । তাঁর এই প্রয়ানের মধ্য দিয়ে বাংলার কংগ্রেস রাজনীতিতে আরও একটা যুগের অবসান ঘটলো , এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

 

 নব্বইয়ের দশকেও প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র । সেই সময় মতপার্থক্য ও সাংগঠনিক নির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বেরিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ঠিক পরপরই 1998 সালের নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার দায়ভার কাঁধে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সোমেন বাবু।

 

এরপর প্রায় দীর্ঘ কুড়ি বছর পরে 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফের একবার এই বর্ষীয়ান নেতার হাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব ভার তুলে দেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সোনিয়া ও রাহুল ব্রিগেড। তাঁর এই চলে যাওয়া, নিশ্চিত করেই বাংলার রাজনীতিতে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করলো।

 বাংলার রাজনীতিতে তিনি ছোড়দা নামেও পরিচিত ছিলেন কংগ্রেসের নেতা কর্মী কিংবা সমর্থকদের কাছে । কলকাতার শিয়ালদহ বিধানসভা আসন থেকে একাধিকবার বিজয়ী হয়ে বিধায়ক হন এই বর্ষীয়ান নেতা l শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে কংগ্রেসের উপর কিছুটা অভিমান করেই দল ছেড়েছিলেন কংগ্রেসের ছোড়দা । তৈরি করেছিলেন নিজের নতুন দল, "প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস"। 

যদিও এর কিছুদিন পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে 2009 সালে রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সোমেন মিত্র । কিন্তু এখানেও বেশিদিন থাকতে পারেননি তিনি । 2014 লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আবারো তাঁর পুরনো দল কংগ্রেসেই ফিরে আসেন সোমেন বাবু ।


 রাজনৈতিক দিক থেকে মতপার্থক্য থাকলেও সোমেন মিত্রের এই অসুস্থতার মুহূর্তে প্রতিনিয়ত তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মাঝে একদিন আরোগ্য কামনায় ফুল ও শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠান তৃণমূল নেত্রী। আরেক কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গেও সোমেন বাবুর তীব্র মতপার্থক্য থাকলেও,  এই পরিস্থিতিতে অধীর বাবুও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সোমেন বাবুর পরিবারের সঙ্গে।

 

 আসলে নার্সিংহোম সূত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলার পর থেকেই সবার মনেই একটা শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। বুধবার মধ্যরাতে সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন কংগ্রেসের অতি প্রিয় ছোড়দা, সৌমেন্দ্র নাথ মিত্র।



হলদিয়ায় বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি তুলল বিজেপি


 পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়াতে বুধবার এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার রাজনৈতিক মহল। বিজেপির অভিযোগ এই মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের।

ভিডিও ফুটেজ দেখতে হলে নিচের  'প্লে বাটনে' ক্লিক করুন...

ভারতীয় জনতা পার্টি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত রামনগর-২ পূর্ব মন্ডলের, হলদিয়া ২ অঞ্চলের ৪১নং অর্জুনি বুথের ভারতীয় জনতা পার্টির বুথ সভাপতি  পূর্নচন্দ্র দাসকে এদিন সকাল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এদিন বিকেলের দিকে এলাকার এক পান বোরোজের মধ‍্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন‍্য নিয়ে যায়।

অভিযোগ ওই এলাকার তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই ঘটনার আগের দিন পূর্ণচন্দ্র দাস কে ডেকে পাঠিয়েছিল,কিন্তু বিজেপির বুথ সভাপতি পূর্নচন্দ্রবাবু তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দেননি। এরপর বুধবার  সকাল থেকে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং শেষ পর্যন্ত বিকালের দিকে তাঁকে স্থানীয় পান বোরোজের মধ‍্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। 

এই ঘটনায় ওই বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ এনেছেন। এক্ষেত্রে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিকৃষ্ট, ঘৃণ্য এবং বর্বর মধ‍্যযুগীয় অন্ধকারের শাসন কায়েম করে রেখেছে। এদিনের রামনগরের এই বর্বর ঘৃণ‍্য ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের সেই নৃশংস বর্বরতারই আরও একটা নজির হয়ে রইল বলেই নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। অপরদিকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।



করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশকে উপহার পাঠাতে ভোলেনি ভারত। এই বছর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে পড়শি দেশকে ১০টি লোকোমোটিভ রেল ইঞ্জিন উপহার পাঠানো হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই উপহার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নয়াদিল্লি থেকে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আর বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন ও বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রতিনিধিত্ব করেন।
জানা গিয়েছে, গেদে সীমান্ত হয়ে ১০টি রেল ইঞ্জিন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছয়। তখনয় স্টেশনে উপস্থিত হাজার খানেক মানুষ ভারতের পাঠানো এই উপহারকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরের সময়ই সে দেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। রেল ইঞ্জিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রেল। এই ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ পাঠানো হল। 
লোকোমোটিভের অভাবে বাংলাদেশে সামগ্রিক রেল পরিষেবা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলের সংগ্রহে যতগুলি ইঞ্জিন রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশের ইকোনমিক আয়ুষ্কাল (২০ বছর) পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও সংকটের কারণে খুঁড়িয়ে চলা এইসব ইঞ্জিন দিয়েই চলছে রেল। ফলে প্রতিনিয়ত ইঞ্জিন বিকলের সমস্যার কারণে পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারতের দেওয়া উপহারে বাংলাদেশের রেলের গতি ও পরিষেবার মান আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।


আজ আম্বালা এয়ার ফোর্স স্টেশনে এসে পৌঁছে গেল ৫ রাফাল জেট। আর ভারতের মাটি স্পর্শ করতেই রাফাল জেটকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিন–পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে সংস্কৃত ভাষায় ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে নয়া দিগন্ত খুলে দিল রাফাল জেট। দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে জেটগুলি টানা ৭ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে এসে পৌঁছয় আল দাফরা ঘাঁটিতে। সেখান থেকে জেটগুলি আম্বালার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ফলে পা কাঁপল দুই দেশের বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাফালের ভারতে অবতরণের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। আর সংস্কৃত ভাষায় স্বাগতম জানিয়েছেন যুদ্ধবিমানগুলিকে। প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটটি হল, ‘‌দেশকে সুরক্ষার থেকে বড় আশীর্বাদ আর কিছু হতে পারে না। দেশকে রক্ষাই সেরা যজ্ঞ। সম্মানের সঙ্গে আকাশ ছোঁও। স্বাগতম।’‌ ভারত মহাসাগরে দেশের আকাশ সীমায় ৫ রাফাল জেটের ফ্লিট প্রবেশ করতেই তাদের স্বাগত জানায় ভারতের নৌসেনা। বার্তা দেওয়া হয় ভারতের আকাশসীমায় স্বাগত। হ্যাপি ল্য়ান্ডিং। তবে এটা এমন সময় হল যখন চিনের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়েছে ভারতের। সেখানে চিনের কাছে এটা বার্তা ধরে নেওয়াই যায়।
উল্লেখ্য, চিন–ভারত সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে রাফাল জেট দেশে চলে আসায় স্বভাবতই খুশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বুধবার দুপুরে জেটগুলি ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। তাদের স্বাগত জানাতে আকাশে উড়েছিল সুখোই–৩০ জেট। রাজনাথ লিখেছেন, ‘‌সঠিক সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি দারুণ খুশি। যারা ভারতের অন্তর্বর্তী ভূখণ্ডের জন্য ঝুঁকিপ্রবণ তারাই আমাদের এই নয়া ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বে।’‌ ফলে চিনের প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েই রাখলেন। তারপর আম্বালার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একে একে অবতরণ করে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধ বিমান। জলকামান দিয়ে ওয়াটার স্যালুট দেওয়া হয় তাদের।


শিক্ষকের লালসার শিকার ছাত্রী। যাঁর শিক্ষা দান করা উচিত আজ তিনিই ছাত্রীকে ভোগ করছেন। এমনই অভিযোগ জোরালো হয়ে উঠল। শুধু তাই নয়, ছাত্রী–সহ একাধিক মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে ঢিঢি পড়ে গিয়েছে। এমনকী একটি অডিও ক্লিপকে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরে ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। কর্তৃপক্ষ আইনি পরামর্শ নিয়ে সেই অভিযোগ পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন অভিযোগ কমিটির কাছে।
ঠিক কী ঘটেছে?‌ অভিযোগে ছাত্র সংসদ জানিয়েছে, বহু ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই শিক্ষক। এই ঘটনা সত্যি হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য নষ্ট হবে। এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভিসি’‌র কাছে আবেদন জানিয়েছে ছাত্র সংসদ। প্রমাণ হিসেবে তাদের পেশ করা অডিও ক্লিপকে গ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়েছে। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। এই বিষয়ে ভিসি নিমাই চন্দ্র সাহা জানান, আইনি দপ্তরের পরামর্শ মেনে এক অধ্যাপিকার নেতৃত্বে গঠিত একটি অন্তর্বর্তী অভিযোগ কমিটিতে ছাত্র সংসদের অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও ছাত্রী ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
এই কমিটিতে ৯ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন একজন আইনের শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক আধিকারিক। যে অডিও ক্লিপটি প্রমাণ হিসেবে কমিটিতে পেশ করা হয়েছে, তাতে অভিযুক্ত অধ্যাপক, তাঁর স্ত্রী ও এক ছাত্রীর কণ্ঠস্বর রয়েছে। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের প্রমাণ এই অডিও ক্লিপ। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত অধ্যাপক। 
উল্লেখ্য, ছাত্রী–সহ একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁদের নানাভাবে হেনস্থা, কেউ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপে লাগাতার বার্তা পাঠানো–সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ইংরেজির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সম্পর্কে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়েছে শিক্ষক মহলে।


গরমে হাঁসফাঁস করছেন গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। কারণ মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টিতে গুমোট হয়ে উঠছে। আর অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তবে এবার মৌসুমি বায়ু কিছুটা সক্রিয় হয়ে ওঠায় ভারী বৃষ্টি হল কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার রাতে এক দফা ভারী বৃষ্টির পর বুধবার সকালেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায়। এই বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। দক্ষিণের থেকে শহরের উত্তর প্রান্তে বৃষ্টির দাপট অনেকটাই বেশি ছিল। দমদমে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আলিপুরে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই মুষলধারে বৃষ্টির জেরে শহরের বেশ কিছু এলাকায় সাময়িক জল জমে যায়। তবে বৃষ্টি থামতেই ধীরে ধীরে তা নেমেও যায়। 
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতার আগে অবশ্য পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়ায় ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। পুরুলিয়ায় ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আসানসোলে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়তি রয়েছে। কৃষিকাজে অনেকটাই সুবিধা করে দিচ্ছে এই বাড়তি বৃষ্টি। মঙ্গলবার রাতের পর পরিস্থিতি যে আরও ভালো হবে। বুধবার সকালেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জোর বৃষ্টি শুরু হয়। ১৫ মিনিট ধরে চলে এই বৃষ্টি। তার জেরে সকালের থেকে গুমোটভাবটা অনেকটাই কেটে যায়।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তর ভারতে অবস্থিত একটি অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডল দিয়ে। তাই এই প্রবল বৃষ্টি। তবে এদিন বজ্রপাতের মতো ঘটনা বিশেষ ঘটেনি। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমারই সম্ভাবনা বেশি। হালকা থেকে বিক্ষিপ্ত মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ফিরবে অস্বস্তিকর গরম।



২৯ জুলাই, ১৯১১। তারিখটা বাঙালির জীবনে একটা ঐতিহাসিক দিন। কিন্তু এখন বিশ্বজুড়ে করোনা প্রকোপে উত্তেজনা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এই দিনটিতে ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে হারিয়ে ব্রিটিশদের দর্পচূর্ণ করেছিলেন ১১ জন বীর যোদ্ধা। সেই জয়টা শুধু ভারতীয় ফুটবলে আবদ্ধ ছিল না, স্বাধীনতা সংগ্রামেও দাগ কেটেছিল। আজ সেই ঐতিহাসিক দিন পেরিয়েছে ১৩১ বছর হল। অতীত হয়ে উঠেছে গর্বের। মোহনবাগানের ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে সমর্থকরা সবসময়ই গর্ববোধ করেন। 
উল্লেখ্য, আজকের দিনটা যেন একটু বেশি গর্বের। আজ ২৯ জুলাই। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে ঐতিসাহিক এক দিন। গর্বেরও বটে। তবে এবার করোনা আবহে ক্লাবে সমর্থকদের ঢল নেই। নেই কুচকাওয়াজ, অনুষ্ঠান। মোহনবাগান সমর্থকরা যেন বাক্সবন্দি। আজ ২৯ জুলাই আবার রাজ্যে লকডাউন। ফলে সমর্থকদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাড়ার রাস্তায় উদযাপনেরও সুযোগ নেই। 
যদিও এই দিনেই সুখবর এল। মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য ভাল খবর। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে পালিত হল মোহনবাগান দিবস। আপামর মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে যা কি না গর্বের। করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেলেন মোহন সমর্থকরা। মোহনবাগানের শতবর্ষপ্রাচীন ঐতিহ্যে যেন আরও এক গর্বের অধ্যায় যুক্ত হল।
জানা গিয়েছে, আইকনিক টাইমস স্কোয়ারের নাসড্যাক বিলবোর্ডে ঠিক রাত ১২টায় ভেসে উঠল মোহনবাগানের লোগো। ভেসে উঠল বাঙালির চিরাচরিত গর্বের সবুজ–মেরুন রঙ। ভেসে উঠল যেন ১৩১ বছর ধরে প্রবাহিত স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস। বিশ্বের দরবারে মোহনবাগান আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল। 


লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত–চিন বৈরিতা যখন চলছে তখন জলসীমান্তে ভারত যে দুর্বল নয় তা বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিল নৌসেনা। রণতরী আর সাবমেরিন সাজিয়ে নৌসেনা তাক করে বসে আছে ভারতীয় নৌবাহিনী। যা দেখে চাপে পড়েছে বেজিং। লাদাখে সেনা না সরালে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছ পা হবে না ভারত, সেকথা আগেই জানানো হয়েছিল বেজিংকে। এবার বেজিংকে জলে জবাব দিল ভারতীয় নৌসেনা। 
লাদাখে চুক্তির একচুল খেলাফ করলেই ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত। ভারত মহাসাগরে রণতরী আর সাবমেরিন সাজিয়ে বসে আছে ভারতীয় নৌসেনা। বেজিং ভেবেছিল ভারত মহাসাগরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখবে। কিন্তু নৌসেনার সমরসজ্জা তাদের ভাবনায় জল ঢেলে দিল। এমনকী যেভাবে নৌসেনা তাক করেছে বেজিংকে এবং হুঙ্কার দিয়েছে তা যথেষ্ট ভাববার বিষয়। অনেকে বলছেন, ভারতের হাতে রাফাল চলে আসায় চিনকে রেয়াদ করতে রাজি নয়। তাই এই নৌসেনার কড়া বার্তা।
উল্লেখ্য, লাদাখ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে চিন। চুক্তি মেনে দুই দেশই বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে। যদিও ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এখনও বেশ কিছু জায়গায় সেনা সরানোর কাজ বাকি রেখেছে বেজিং। এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না ভারত। জলসীমান্তে রণতরী ও সাবমেরিন সাজিয়ে বসে বার্তা দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। 




SHOCKING : সুশান্তকে চেন দিয়ে

বেঁধে রাখতেন রিয়া !! দায়ের FIR 


 একবছরে সুশান্তের ১৭ কোটি খরচ করেছে রিয়া !!!

একমাত্র ছেলে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ১০ দিন পর নীরবতা ভেঙেছিলেন বাবা কেকে সিং। ছেলে আত্মহত্যা করেছে বিশ্বাস করেন না সুশান্ত এর বাবা। 

খেলাধূলো থেকে পড়াশোনা সবেতেই চ্যাম্পিয়ন ছিল সুশান্ত। তাঁর ছেলে ছোট থেকেই অসম্ভব প্রতিভাবান ছিল । 

'সামনে ছবির কাজ আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভাবব বিয়ের কথা ' বলেছিল সুশান্ত ।

সুশান্তের বান্ধবী রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের বাবা।  বাবার কথায়, প্রথম থেকেই  তাঁর ছেলের অর্থ এবং সম্পত্তির দিকে নজর ছিল রিয়ার । 


সুশান্তের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিং আর বিদেশ ভ্রমণ করে রিয়া । একবছরে সুশান্তের ১৭ কোটি খরচ করেছে রিয়া । 


অভিযোগ, সুশান্তকে জোর করে চেন দিয়ে বেঁধেও রাখত রিয়া ।


সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২৬ জুলাই পটনা থানায়  এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা। 


ভারতীয় দন্ডবিধির জামিন অযোগ্য ধারায় (৩০৬, ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬, ৪২০) মামলা দায়ের হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে । আইনি নোটিশ গেছে রিয়ার বাড়িতেও।





রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। রাজ্যে জারি থাকবে দু’‌দিন করে সাপ্তাহিক লকডাউন। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগস্ট মাসে প্রতি সপ্তাহে লকডাউনের তারিখও ঘোষণা করেছেন তিনি। করোনাভাইরাসকে বাগে আনা সম্ভব হলে শিক্ষক দিবসের পর খুলতে পারে স্কুল–কলেজ।

এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখতে হলে নিচের  'প্লে বাটনে' ক্লিক করুন...

স্বরাষ্ট্রসচিব আগেই ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে তাই সাপ্তাহিক লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ২৩ (বৃহস্পতিবার), ২৫ (শনিবার) ও ২৯ জুলাই (বুধবার)—এই তিনদিন গোটা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, গোটা আগস্ট মাসোই লকডাউন থাকবে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই সপ্তাহে বুধবারের পর আবার রবিবার লকডাউন হবে। আগস্ট মাসে প্রতি রবিবার লকডাউন হবে রাজ্যে। তিনি তারিখ উল্লেখ করে জানিয়েছেন, আগামী রবিবারের পর ৫ আগস্ট বুধবার আবার সার্বিক লকডাউন হবে। তারপর ৮ ও ৯ আগস্ট পুরোপুরি লকডাউন হবে। তবে রাখি পূর্ণিমার জন্য লকডাউন করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তার পরিবর্তে বুধবার ৫ আগস্ট লকডাউন হবে। রাখি পূর্ণিমার পাশাপাশি বকরি ঈদ ও স্বাধীনতা দিবসকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বুধবার ২৯ জুলাইয়ের পর রবিবার ২ আগস্ট, ৫ আগস্ট বুধবার, ৮ আগস্ট শনিবার, ৯ আগস্ট রবিবার, ১৬ আগস্ট রবিবার, ১৭ আগস্ট সোমবার, ২২ আগস্ট শনিবার, ২৩ আগস্ট রবিবার, ২৯ আগস্ট শনিবার এবং ৩০ আগস্ট রবিবার লকডাউন থাকবে। এই লকডাউনে কোনও বিমান ও ট্রেন চলবে না। আগের মতোই কন্টেইনমেন্ট জোনে কোনও ছাড় নেই। সেখানে পুরোপুরি লকডাউন থাকবে। আর সরকারি ও বেসরকারি অফিস যেমন চলছিল চলবে।

Author Name

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
satta king tw