Latest Post



পশ্চিমবঙ্গের নতুন মুখ্যসচিব পদে নিয়োজিত হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। সোমবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।

নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নিচ্ছেন বর্তমান মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তাঁর জায়গায় আসছেন ১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আলাপনবাবু। 

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আরও দুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক, রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন এইচ কে দ্বিবেদী। এতদিন তিনি অর্থসচিব পদের দায়িত্বে ছিলেন। আর অর্থসচিব পদে নিযুক্ত হচ্ছেন মনোজ পান্থ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য প্রশাসনের এই নতুন সচিব টিম ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। নতুন টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আলাপনবাবুই যে পরবর্তী মুখ্যসচিব হতে চলেছেন অনেকদিন আগে থেকেই তা শোনা যাচ্ছিল। চাকরি জীবনের শুরুতে মহকুমাশাসক, আন্ডার সেক্রেটারি এবং একাধিক জেলার জেলাশাসক হিসেবে কাজ করেছিলেন আলাপনবাবু। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ছাড়াও পুর, পরিবহণ, শিল্প, এসএসএমই’‌র মতো দপ্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং সরকারকে বহুবার নানা সমস্যা থেকে বের করে আনার সুবাদে পরবর্তী মুখ্যসচিব পদের অন্যতম দাবিদার তিনিই। উল্লেখ্য, বিদায়ী মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়ুক্ত হচ্ছেন। ৩ বছরের মেয়াদে এই পদে বহাল হচ্ছেন তিনি।



আগামী ২ নভেম্বর থেকেই কলেজের ক্লাস শুরু হচ্ছে রাজ্যে। রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপাচার্যদের ভার্চুয়ালি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চু্যাল বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্নাতক স্তরে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। এমনকী ভর্তি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে ১৮ নভেম্বর বা ১ ডিসেম্বর থেকে স্নাতকোত্তরেও ক্লাস শুরু হবে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌উনি (পোখরিয়াল) ট্যুইট করেছেন। আদেশনামা এলে আমরা ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কথা বলব। তার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু সময় কমলে সিলেবাস শেষ হবে কী করে। পিজি–তে ভর্তি তো নভেম্বরে। সমস্যা তো আসবেই।’‌

জানা গিয়েছে, ইউজিসি যে গাইডলাইন দিয়েছে সেগুলো কার্যকর করে কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের খোলা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এখনও লোকাল ট্রেন বন্ধ। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও পড়ুয়ারা কীভাবে কলেজে আসতে পারে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে অনলাইনে, অক্টোবর মাসে। 

শিক্ষামন্ত্রী আগেই বলেন, ‘‌দেশজুড়েই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় স্কুল–কলেজ খোলা যাবে না। করোনা মোকাবিলায় যে গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড তৈরি করেছে রাজ্য সরকার, সেই বোর্ডের সদস্যরাও স্কুল খোলা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। তাই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল কলেজ বন্ধ থাকছে। তারপর বিষয়টি পুনবির্বেচনা করা হবে।’‌ 


তৃণমূলের চটুল নাচ বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে। আর তাতে দলের অস্বস্তি বেড়েই চলেছে। আবার তৃণমূলের সভায় চটুল নাচ জোর চর্চার বিষয় হয়ে উঠল। ঘটনাস্থল সেই ভাঙড়। যেখানে আরাবুল ইসলামের মতো নেতা থাকেন। সেখানে একবছর আগে ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ভাঙড়ে তৃণমূলের সভামঞ্চে চটুল নাচ পরিবেশিত হয়েছিল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য– রাজনীতি। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল এবারও। কেন্দ্রের কৃষি–বিলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চটুল নাচ সামনে নিয়ে আসায় জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভাঙড়ের শোনপুরে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ডাকে কেন্দ্রের কৃষিবিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ছিল। সেই সভায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীও। আর সেই সভাস্থলেই চলল চটুল নাচ। সেই নাচ এতটাই উশৃঙ্খল ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সত্যিই কৃষক–বিলের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করতে চান কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। রীতিমতো ভোজপুরী গানের সঙ্গে চটুল নাচে মাতেন তৃণমূল কর্মীরা। করোনা আবহে যখন শারীরিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হচ্ছে, তখন সেই সরকারি নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে সভা করছে তৃণমূল। তার উপর আবার সেই সভায় উদ্দাম নাচ তৃণমূল কর্মীদের। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে উদ্দাম নাচ উস্কে দিয়েছে বিতর্ক।



রাজনৈতিক ময়দানে নবাগতা হওয়ায় মাঠে–ময়দানে নেমে আন্দোলন করে নিজেকে শান দিচ্ছেন তিনি। গ্রামেগঞ্জে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। একদা ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে অধুনা রাজনৈতিক নেত্রী। আর এই দৌড়ঝাঁপ থেকেই করোনায় আক্রান্ত হলেন অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি।

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। করোনা উপসর্গও ছিল তাঁর। এরপরই কোভিড পরীক্ষা করান তিনি। আজ সকালে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনি কোভিড পজেটিভ। এরপরই ফেসবুকে পোস্ট করে এই কথা জানান বিজেপি নেত্রী। তবে তিনি অনুরোধ করেছেন, গত পাঁচদিনে যাঁরা যাঁরা ওনার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা যেন অতি অবশ্যই হোম আইসোলেশনে যান।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বিজেপি’‌র হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও করোনায় আক্রান্ত হন। করোনার কারণে বিজেপি রাস্তায় নেমে কর্মসূচির কথা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আগে। তবে তখন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছিলেন, নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় জারি থাকবে মোর্চার কর্মসূচি।



দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বিজেপি’‌র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স থেকে বেরিয়ে গেল শিরোমণি অকালি দল। বিতর্কিত কৃষি বিল ঘিরে প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা থেকে নিজেদের সাংসদকে প্রত্যাহার করেছিল শিরোমণি অকালি দল। এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এই জোট ছেড়েই বেরিয়ে গেল তারা। সভাপতি সুখবীর সিং বাদলের সভাপতিত্বে শিরোমণি অকালি দলের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসেছিল। সেখানেই বিজেপি’‌র জোট–ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কৃষি ক্ষেত্র নিয়ে চলতি মাসের গোড়ায় যে তিনটি বিতর্কিত বিল গৃহীত হয়েছে, তারই প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিক শিরোমণি অকালি দল। দলের সুপ্রিমো সুখবীর সিং বাদল চণ্ডীগড়ে জানান, দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সভা শিরোমণি অকালি দল কোর কমিটি আজ জরুরি বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই বিজেপি’‌র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছাড়ার ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।

দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে কৃষকরা যাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান তা নিশ্চিত করতে আমরা আইনি সংস্থান রাখার কথা বলেছিলাম। সরকার এই দাবিকে অস্বীকার করেছে। যার প্রতিবাদে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। 

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে লোকসভায় কৃষি বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। ওই দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কৌর বাদল। অকালি দলকে নিয়ে মোট তিনটি প্রধান দল এখনও পর্যন্ত এনডিএ ছেড়ে দিল। এর আগে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও শিবসেনা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এবার সেখানে যোগ হল শিরোমণি অকালি দল।



রবিবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। যশবন্ত সিংয়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, যশবন্ত–জি সারা জীবন দেশের সেবা করেছেন। প্রথমে সৈনিক হিসাবে। তারপর রাজনীতিতে। প্রতিরক্ষা, বিদেশমন্ত্রকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন।

রবিবার সকালে দিল্লিতে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান রাজনীতিকের। গত জুন মাস থেকে দিল্লি আর্মি হাসপাতালে (রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল) ভর্তি ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাল্টি অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোম এবং মাথায় পুরনো আঘাতের জেরে অসুস্থ অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং প্রাক্তনমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সকালে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তিনি কোভিড–১৯ নেগেটিভ ছিলেন।

রাজনাথ সিং ট্যুইট করে লেখেন, যশবন্ত সিং–জির মৃত্যুর খবর দুঃখজনক। বিজেপিকে শক্তিশালী দল হিসাবে গড়ে তুলতে ওনার অবদান অনস্বীকার্য। উল্লেখ্য, ১৯৯৮–২০০২ সাল পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রক, ২০০০–২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ও ২০০২–২০০৪ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন যশবন্ত। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে অর্থ, প্রতিরক্ষা এবং বিদেশমন্ত্রী হিসাবে কেন্দ্রের একের পর এক বড় সিদ্ধান্তের মূলে ছিলেন যশবন্ত সিং। বিজেপি’‌র প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা। রাজস্থানের বারমের জেলার জসোল গ্রামে যশোবন্তের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি। প্রথম জীবনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার ছিলেন পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন৷ আশির দশকে রাজ্যসভায় যোগ দেন।



বিজেপিতে বড় রদবদল। একুশের ভোটের আগে গুরুত্ব বাড়ল মুকুল রায়ের। তিনি হলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তৃণমূলের পর বিজেপি’‌রও অন্যতম শীর্ষ পদের দায়িত্ব পেলেন মুকুল রায়। দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি করা হল তাঁকে। শনিবার সভাপতি জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে দল পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানেই তিনি এই কথা জানান। সুতরাং বাংলার নির্বাচনের আগে বিজেপি’‌র এটা মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

সর্বভারতীয় সচিবের তালিকায় রয়েছে অনুপম হাজরার নাম। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা হলেন বিজেপি’‌র জাতীয় মুখপাত্র। বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই মুকুলের পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল। বিজেপি’‌র নবগঠিত রাজ্য কমিটিতে মুকুলের ঠাঁই হয়নি। তখনই দিল্লিতে গিয়ে বিদ্রোহ করেন মুকুল। ২০১৭ সালে নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট, লোকসভা ভোটের দায়িত্বেও ছিলেন। অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামাণিক, সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ ও খগেন মূর্মূদের ভাঙিয়ে এনেছিলেন মুকুল। বাংলায় ১৮টি আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। তাই এবার সর্বোচ্চ পদোন্নতি করা হল তাঁকে।

তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। তবে কলকাতার রাজপথে দাঁড়িয়ে মুকুলকে আশ্বস্ত করেছিলেন কৈলাশ। অবশেষে বিজেপিতে পদোন্নতি হল মুকুল রায়ের। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি’‌র নতুন পদাধিকারীদের তালিকা। মুকুলের সঙ্গে সহ–সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, ওড়িশার জয় পান্ডা। কিন্তু তাঁরা যে যার রাজ্যে। বাংলা থেকে মুকুলই সেরা বাছাই। 

মুকুল রায়কেই প্রাধান্য দিল দিল্লি বিজেপি। জাতীয়স্তরে দায়িত্ব পেলেন মুকুল। হলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। বিজেপি’‌র গঠনকাঠামোর দ্বিতীয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ সহ–সভাপতি। ফলে এক কথায় পদোন্নতিই হল মুকুলের। দলের সর্বভারতীয় সচিবের তালিকায় রয়েছে অনুপম হাজরার নাম। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তকে দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্রের তালিকা অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, একুশের আগে মুকুল রায়কে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি বিজেপি।  



রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম সাধারণ সভার বক্তৃতায় এবার সরাসরি ধর্মীয় তাস খেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তখনই প্রতিবাদে সভা থেকে ওয়াকআউট করে ভারত। পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, ‘‌গত ৭০ বছরে বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের গৌরব তুলে ধরার মতো বিষয়গুলি হল– সন্ত্রাসবাদ, জনজাতির নির্মূলিকরণ, মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত এবং গোপন পারমাণবিক বাণিজ্য।’‌

পাক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নাৎসি পার্টির সঙ্গে তুলনা করলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস থেকে শুরু করে গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লির সংঘর্ষ, একের পর এক উদাহরণ তুলে, ভারতে মুসলিমরাই নির্যাতনের শিকার বলে বার্তা দিতে চান তিনি। 

আর টুইটারে তিরুমূর্তি লেখেন, কূটনৈতিক অধঃপতনে নতুন স্তরে পৌঁছল পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা। তা মিথ্যা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, যুদ্ধবাজ মনোভাবে পরিপূর্ণ। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের দুর্দশা, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি অন্ধকারেই রয়ে গেল। 

ইমরান খানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, জম্মু–কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আইন ও প্রশাসনিক ইস্যু একান্তভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বর্তমানে কাশ্মীরের একমাত্র সমস্যা হল যে, এর কিছুটা অংশ পাকিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। 

এরপর মিজিতো ভিনিতো বলেন, ‘‌এক ব্যক্তির ভুলভাল বক্তব্য শুনতে হল যার নিজের কিছুই প্রদর্শন করার নেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভুয়ো তথ্য, যুদ্ধ–মনোভাবের মতো বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই সভাকক্ষে।’‌

 


টাইম বোমার পর এবার কুমিরের বাচ্চা। উপকূলের জেলায় কুমির বাচ্চার উৎস ঘিরে চাঞচল্য তৈরি হয়েছে।তাও আবার একটা নয়, পরপর তিন তিনটে কুমির পাওয়া গেল। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায়। প্রথমে খেজুরিতে পরপর দুবার এবং এখন পটাশপুরের খরিগেরিয়ার কাছে মাছ ধরতে গিয়ে জালে ধরা পড়ে। 

এই নিয়ে এখন গ্রামবাসীদের মধ্যে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রথমে এটিকে গো–সাপ ভেবেছিল স্থানীয়রা। পরে দেখা গেল সেই ভাবনাটা সম্পূর্ণ ভুল। প্রকৃত কুমিরই বটে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কোথাও কুমির প্রকল্প বা কুমির চাষ করা হয় না। তাহলে কোথা থেকে এলো এই কুমির বাচ্চা? তাও আবার পরপর। 

এই প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশবিদ সোমনাথ দাস অধিকারী বলেন, ‘‌লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে যাওয়ায় খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে কুমির বাচ্চাগুলি সুন্দরবন বা উড়িষ্যা থেকে পথ ভুল করে মিষ্টি জলে চলে এসেছে। এখন কুমিরটিকে বায়ো ডাইভারসিটি বোর্ডের অনুমতি নিয়ে এগরা কলেজের অধ্যাপক সুদীপ্ত ঘোড়াইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এগরা কলেজে রেখেই কুমিরটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে গবেষণা করবেন সুদীপ্তবাবু। তবে টাইম বোমা থেকে কুমিরের বাচ্চা কোনও কিছুই বাদ পড়ছে না জমি আন্দোলনের জেলা থেকে।



কয়েক আগেই মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ৬ জন আল–কায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। ফের সেই মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই জঙ্গি সন্দেহে আরও একজনকে আটক করল বিএসএফ। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে শামিম আনসারি নামে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে।

কে এন শামিম আনসারি? স্থানীয় সূত্রে খবর, শামিম পেশায় রাজমিস্ত্রি। দু’‌বছর কেরলে থেকে একবছর হল দেশে ফিরেছে। জলঙ্গির নওদাপাড়ার বাড়িতে স্ত্রী–পরিবার নিয়ে একবছর ধরে আছে। এই যুবকের আচরণে এমন কিছু প্রতিবেশীরা দেখেননি, যাতে সন্দেহ করা যায়। কিন্তু বিএসএফ দাবি করেছে, শামিম আনসারি ডোমকলের আল মামুনের ঘনিষ্ঠ। এনআইএ যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তাদেরই একজন আল মামুন।

এনআইএ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ ছিল। সেই গ্রুপে কথোপকথনের পর সমস্ত চ্যাট ডিলিট করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সূত্র ধরে বাকিদের খোঁজও শুরু করেছেন এনআইএ'র গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহের তালিকায় মালদার দুই যুবকও রয়েছে। ৬ জনের ফোন কলও পরীক্ষা করা হয়েছে। এনআইএ'র ইঙ্গিতেই শামিম আনসারির গ্রেপ্তারি বলে মনে করা হচ্ছে।

Author Name

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
satta king tw