:BREAKING NEWS:
কাঁথিতে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা এবার সুপারমার্কেটের সবজি ব্যবসায়ী
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরে প্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই দু'চারজন করে নতুন
আক্রান্তের নাম যোগ হচ্ছে করোনা পজিটিভ এর তালিকায়।
শুক্রবার এরপর শনিবারও কাঁথিতে মোট তিনজন ব্যবসায়ীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে বলে জানা গিয়েছে । এই তিন ব্যক্তির মধ্যে কাঁথি সুপার মার্কেটের এক ডিম ব্যবসায়ী ও এক মাছ ব্যবসায়ী যেমন রয়েছেন, তেমনি করোনা আক্রান্ত তৃতীয়জন কাঁথি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপুর এর বাসিন্দা পেশায় সবজি ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই যে হারে কাঁথি শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা
আক্রান্তের সংখ্যা, সেদিকে তাকিয়ে এই মুহূর্তে অনেকটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা পুলিশ প্রশাসনের। আর এহেন পরিস্থিতিতে কাঁথি শহর ও শহর লাগোয়া অঞ্চলের বাসিন্দাদের মানসিক অবস্থা অত্যন্ত সংগীন। কেউই যেন স্পষ্ট করে বুঝে উঠতে পারছেন না যে, এই পরিস্থিতিতে তাদের ঠিক কি করনীয়! আতঙ্কের কারণে কেউ কেউ ইতিমধ্যেই কাঁথি শহর ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে শহর ছেড়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াটা যে কোন সমাধান সূত্র নয়, সেটা মানছেন প্রায় সকলেই। শুধু কাঁথি শহরই নয় , গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়েই যে হারে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা , তার ফলে রীতিমতো কপালে ভাজ পড়তে শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের। অগত্যা করোনার এই অপ্রতিরোধ্য গতিকে প্রতিহত করতে আবারও কি করা হবে সম্পূর্ণ লকডাউন ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে শহরের আনাচে-কানাচে। হয়তো এই প্রশ্ন একইভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মনের অন্দরেও। কথায় আছে যা কিছু রটে, তার কিছুটা তো বটে। আর তাই এই রটনার উপর ভর করে ইতিমধ্যেই বাড়িতে চাল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের যোগান মজুদ করতে শুরু করেছেন বেশ কিছু শহরবাসী। কারণ শহরবাসীর একটা বড় অংশ মনে করছেন এই পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে গেলে আবারো সম্পূর্ন লকডাউন ছাড়া বিকল্প আর কোন পথ তারা আপাতত দেখতে পাচ্ছেন না। অপরদিকে জেলার কোনও কোনও জায়গায় ইতিমধ্যেই প্রায় সম্পূর্ণ লকডাউন শুরুও হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তেই। যার মধ্যে রয়েছে জেলা সদর শহর তমলুক এর নাম। এছাড়া দিঘার মার্কেট কিংবা তাদের সুপারমার্কেটের মতন জায়গাগুলোতেও শুরু হচ্ছে আংশিক লকডাউন। তাই সব মিলিয়ে এটা বোধহয় বলাই যায় যে, করোনা কে কেন্দ্র করে আবারও এক জটিল আবর্তের মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে যেতে হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাধারণ মানুষকে। সকলের মনেই এখন তাই একটাই প্রশ্ন, এই পরিস্থিতির হাত থেকে উদ্ধার কবে আর কিভাবে !!?
Post a Comment