কাঁথিতে
কেচ্ছা , অভিযুক্ত অধ্যাপিকা
দিব্যেন্দু ডিঙ্গাল
বিবাহিত পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে মার, আভিযুক্ত কাঁথির এক অধ্যাপিকা । ঘটনায় গ্রেফতার দুই ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি-৩ ব্লকের দুরমুঠে দেশপ্রান
মহাবিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে এক বিবাহিত যুবকের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ
উঠেছে । আরো অভিযোগ, যুবকের স্ত্রী প্রতিবাদ করায় এই অধ্যাপিকা তাঁর বিবাহিত
প্রেমিক ও পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে তাঁকে
প্রানে মারারও চেষ্টা করেছেন । জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রেমিক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে প্রেমিকার
বাড়িতেই থাকতেন।উল্লেখ্য, পাতানো ছেলে বানিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এই অধ্যাপিকা।
বিয়ে করে আসার পর সত্য সামনে আসতেই শুরু হয় গৃহবধূর
ওপর অত্যাচার। এক সময় অত্যাচার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে গৃহবধূ অমৃতা দাস অধিকারী কাঁথি
থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তের ভাই
রাজীব সাউ ও প্রেমিক সঞ্জীব দাস অধিকারীকে। পলাতক অধ্যাপিকা রূমালি সাউ ,তাঁর মা মঞ্জুরানি
সাউ ও বাবা নিরঞ্জন সাউ ।
জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে হলদিয়ার ব্রজনাথচক এলাকার
বাসিন্দা অমৃতার সাথে খড়্গপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এই যুবকের বিয়ে হয়। তবে
এই অধ্যাপিকা তাকে ছেলে পাতানোয় সে আঠিলাগড়িতে
ওনার সাথেই থাকতো । অমৃতা দাস পট্টনায়ক পুলিশের
কাছে অভিযোগ করেছে পাতানো মা তথা প্রেমিকার চাপে তার স্বামী সঞ্জীব দাস
পট্টনায়ক তাকে বাপের বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আনতে বাধ্য করে । বেশ কয়েকবার
প্রতিবাদ করায় উল্টে অত্যাচারিত হতে হয়েছে
ওই গৃহবধূকে। এই মর্মে তিনি কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ( কেস নং ২৮১/২০,তাং ১১/৮/২০) ।
ধৃত ২ অভিযুক্তকে বুধবার আদালতে তোলা হলে নির্যাতিতার
হয়ে আদালতে সাওয়াল করেন স্বরূপ ভৌমিক,নির্মাল্য
দাস, মঞ্জুর রহমান খান,ইকবাল হোসেন,ঋতব্রত দাস,প্রদীপ পন্ডা প্রমুখ আইনজীবি ।আদালত ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ
করে দেয় ।
অপরদিকে দেশপ্রান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড: সুবিকাশ জানাকে তাঁর কলেজের ফিলোজফির এক অধ্যাপিকার বিষয়ে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই । অধক্ষ্য আরো জানিয়েছেন তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন এবং আগামী দিনে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান দেশপ্রান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড: সুবিকাশ জানা।
Post a Comment