সেক্স ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনে অবাধ যৌনতা


এই সেক্স ট্যুরিজমের তালিকায় যোগ হচ্ছে নিত্য নতুন দেশের নাম। হাভোস্কোপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখানো হয় দেহব্যবসায় অর্থের লেনদেনের ভিত্তিতে বিশ্বের বহু দেশ অর্থনীতির হাল পালটে দিচ্ছে। করোনা আবহে এটাই বিকল্প পথ। কারণ চাকরি নেই, রোজগার নেই, ব্যবসা লাটে উঠেছে। সেখানে আছে বলতে শুধু শরীর। বাঁচতে এখন সেটাকেই পণ্য করা হচ্ছে। অনেক দেশেই হয়ত এখনও যৌন ব্যবসা বৈধ নয়। কিন্তু তারাও এখন সেক্স ট্যুরিজমের দিকে ঝুঁকছে। 

সেক্স ট্যুরিজমে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন হল থাইল্যান্ড। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমান এখানে। কারণ সেখানে যে রয়েছে অবাধ যৌনতার এক রেড কার্পেট। গোটা থাইল্যান্ডেরই বহু জায়গায় শুধুমাত্র যৌনতাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটন শিল্প। দিনের বেলা আপাত নিরীহ জায়গাগুলি রাত হলেই পালটে যায়। নষ্ট রাতের দুনিয়ায় উদ্দামতায় মজে থাকে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত। অসংখ্য ম্যাসেজ পার্লার, স্পা এবং নাইটক্লাবের আড়ালে চলতে থাকে অবাধ যৌনতার কারবার। 

আর্জেন্টিনাও অবাধ যৌনতার এক স্বর্গ। ১৮৮৭ সাল থেকে আর্জেন্টিনায় বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। আর তারপর থেকেই আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহ ব্যবসায়ীদের চাহিদা তুঙ্গে। এমনকী খোদ আর্জেন্টিনা সরকারের পক্ষ থেকেও বিশ্বের সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত সেক্স ট্যুরিজমের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিয়েছে আর্জেন্টিনা। 

সমুদ্র, পাহাড়ের প্রাকৃতির যুগলবন্দি আর সেইসঙ্গে অবাধ যৌনতার হাতছানি। ডমিনিকান রিপাবলিক এই কারণে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সারা পৃথিবীর সেক্স ট্যুরিজমের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই দেশটি। গোটা দেশেই দেহ ব্যবসা আইনসম্মত, ফলে যৌনতা ও সুরক্ষা, দুই দিক থেকেই ডমিনিকান রিপাবলিক অত্যন্ত নিরাপদ দেশ। এই দেশের সোসুয়া ও বোকা চিকা নামের শহরদুটি সেক্স ট্যুরিজমের জন্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এমনকী রাস্তাঘাটেও অনেকেই জড়িয়ে পড়েন শরীরি মাদকতায়। 

যৌন পর্যটনের পীঠস্থান বলা হয় বুলগেরিয়া–কে। সানি বিচ রিসর্ট ঘিরে নানা রঙিন গল্প রয়েছে। বলা হয়, সানি বিচ রিসর্টের সৈকতে কয়েক হাজার যৌনকর্মী ভিড় জমান। তাঁদের অনেকেই কিন্তু সেই দেশের বাসিন্দাই নন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁরা এসে ভিড় জমান এখানে। রাতেও চড়ে যৌনতার পারদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা বুলগেরিয়ায় ছুটে যান শুধুমাত্র সানি বিচ রিসর্টের জন্যে। শুধু টু’‌পিস পড়া যেন এখানে রেওয়াজ।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ক্যাপিটাল বলা হয় স্পেনকে। সবচেয়ে বেশি নীল ছবির শ্যুটিং হয় স্পেনে। এখানে প্রকাশ্যেই হয় সেক্স পার্টি। যার পোশাকি নাম সেক্স রুলে। গোটা বিশ্বের মানুষকে এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অপেক্ষায় থাকে যৌনতায় ভরা এক অবাধ দুনিয়া। এখানে যৌনতা একেবারেই জুয়ার মতো। অনেক পুরুষ ও নারীর মধ্যে লুকিয়ে থাকেন এমন একজন, যার শরীরে বাসা বেঁধেছে এইডস যৌনব্যাধী। তাঁর সঙ্গে যদি যৌনতায় মাতেন, তবে কিন্তু সব শেষ। তবু ক্লিভেজ–নাভাল–বুবস ঘিরে রাত কাটে মাদকতায়। 

Post a Comment

[blogger][facebook][disqus]

Author Name

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
satta king tw