Ananda Bangla

 

ফের তৃণমূলের দুই বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হলেন। করোনায় আক্রান্ত হলেন ঝাড়্গ্রাম জেলা সভাপতি তথা নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো।বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। শুক্রবার ডাক্তার সুকুমার হাঁসদারর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ওই ঘটনার শোকের রেশ কাটতে না কাটতেই আরো ২ জন বিধায়ক করোনায় আক্রান্ত হলেন।করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত ঝাড়গ্রাম জেলাতৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও গোপীবল্লভপুর এর বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতোকে এদিন কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই দুই বিধায়কের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরে পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও  মুখে মাস্ক ব্যবহার করে সর্বস্তরের মানুষকে চলার আবেদন জানিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার স্বাস্থ্য  দফতর ওজেলা প্রশাসন। তবে যেভাবে একসঙ্গে দুই বিধায়ক  করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাতে চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের কপালে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, দুই জনকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ওই  দুই বিধায়কের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে তারা ফিরে আসবেন এবং তাদের নিজেদের কাজে যোগ দেবেন।

 

এবার কিছু একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বেন শুভেন্দু। যে নন্দীগ্রামের মাটি থেকে তার রাজনীতিতে উত্থান, সেই মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। তার সাফ কথা, 'আমি লিফটে উঠি না। প্যারাসুটে নামি না। সিঁড়ি ভেঙে উঠি।' আগামী ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে বড় সমাবেশের ডাক দিলেন শুভেন্দু। সেই সমাবেশ থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে অনুগামীদের বার্তা দেবেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, সেই সমাবেশ থেকেই নতুন কিছু বার্তা দিতে পারেন শুভেন্দু। এদিন সীতানন্দ কলেজ মাঠে এক বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেই বিজয় সম্মেলন থেকেই তিনি বলেন, যতক্ষন না আমার মুখ থেকে কিছু শুনছেন, এইসব বাজারি সংবাদ উপেক্ষা করুন। নিজের কাজ নিজে করুন। একইসঙ্গে মঞ্চ থেকে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ছোটলোকদের দিয়ে বাজে কথা বলিয়ে ভাবছে উত্তর দেব। কুকুর কামড়ালে মানুষ কখনো কুকুরের পায়ে কামড়ায় না। লক্ষ্ণণ শেঠ বলেছিল শুভেন্দু নয়াচরে ঢুক লে ঠ্যাং কেটে হাতে ধরিয়ে দেব। যেদিন বলেছে, ঠিক তারপর দিন নয়াচরে চলে গেছি।

 

বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে না। বিহারে ইস্তাহারে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই অভিমত পোষণ করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সংবিধান বিরোধী হচ্ছে, ততক্ষণ সেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে না।বিজেপির এই আচরণবিধি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরটিআই করেছিলেন সমাজকর্মী সাকেত গোখলে।তার প্রশ্নের উত্তরে কমিশন বলে দিয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল কোনো প্রতিশ্রুতি দিতেই পারে। সেটা যদি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে লঙ্ঘন না তাহলে নির্বাচন কমিশনের কোনো আপত্তি নেই। কমিশনের ক্লিন চিট পেয়ে স্বভাবত স্বস্তিতে বিজেপি।

 পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে এবার বিরোধীদের প্রতি তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে পুলওয়ামা ঘটনার কথা স্মরণ করে মোদী বলেন, 'আজ আমি যখন কুচকাওয়াজ দেখছিলাম, তখন আমার মাথায় পুলওয়ামা হামলার ছবি ভেসে আসছিল। দেশ কখনো ভুলতে পারবে না ৪০ জন জওয়ানের বলিদান। কিন্তু কেই কেউ সেই দু:খের অংশীদার ছিলেন না। তারা এই হামলা থেকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছিলেন।' প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এখন যখন পড়শি দেশের সংসদে এই হামলার দায় স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, তখন এই লোকগুলির আসল চেহারা দেশের মানুষের সামনে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার প্রথম বর্ষ পুর্তি উপলক্ষে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র এই সুরক্ষার গাফিলতির জন্য দায়ী। এই হামলা থেকে কার সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

 

ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড-এর তরফে এবারের আইএসএলের প্রথম ১১ রাউন্ড খেলার সূচি প্রকাশ করা হয় ৷ এবার কোভিড পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র গোয়াতেই ম‍্যাচ গুলি হবে। গোয়ার জিএমসি স্টেডিয়াম ব্যাম্বোলিম, তিলক ময়দান এবং ফতোর্দা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আইএসএলের সব ম্যাচগুলি। বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা যে ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে সেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান প্রথম ডার্বি হবে ২৭ নভেম্বর তিলক ময়দানে ৷ ওই ম্যাচটি ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ ৷ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে ম্যাচ ৷ ১১টি ক্লাব নিজেদের মধ্যে ডাবল রাউন্ড-রবিন ফর্ম্যাট (হোম-আওয়ে) ভিত্তিতে খেলবে ৷ পয়েন্ট টেবলে প্রথম চারটি ক্লাবই কোয়ালিফাই করবে প্লে অফে ৷  বাকি আরও ৫৫টি ম্যাচের সময়সূচি ডিসেম্বরে প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে ৷

 

রাম জন্মভূমি নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই। তাই এই উৎসাহকেই কাজে লাগাতে চাইছে রেল। ভারতীয় রেল এবার শুরু করতে চলেছে 'রাম পথ যাত্রা'।  রেল এবার শুরু করতে চলেছে "শ্রী রাম পথ যাত্রা"। ভারতীয় রেলের সংস্থা আই আর সি টি সি চালু করতে চলেছে নতুন ট্যুরিস্ট ট্যুর প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের নাম দেওয়া হচ্ছে শ্রী রাম পথ যাত্রা। যা যাত্রা শুরু করবে ১২ ডিসেম্বর থেকে।দেহরাদুন স্টেশন থেকে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। নন এসি স্লিপার কোচ ১২ বগির এই ট্রেন চলবে। এই প্যাকেজ চালু করা হচ্ছে শ্রী রামায়ণ যাত্রা সম্পর্কে। যারা এই ট্রেনে ওঠানামা করবেন তারা দেরাদুন, হরিদ্বার, মেরুট, গাজিয়াবাদ, আলিগড়, হাথরস, টুন্ডলা ও এটাওয়া স্টেশন ব্যবহার করবেন। ৫ রাত, ৬ দিনের এই ট্যুর নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে বহু মানুষ। রাম পথের এই যাত্রা দেখানো হবে, রাম জন্মভূমি, হনুমান গৃহ, অযোধ্যায় সরযূ নদীতে সন্ধ্যার আরতি, নন্দীগ্রামের ভারত মন্দির, ত্রিবেণী সঙ্গম, হনুমান মন্দির, প্রয়াগের ভরদ্বাজ আশ্রম।এছাড়া দেখানো হবে, চিত্রকূট, হনুমান ধারা, গুপ্ত গোদাবরী, রামঘাট, মন্দাকিনী নদী, সতী মন্দির। পর্যটকদের দেওয়া হবে নিরামীষ খাবার। তাদের রাখা হবে যে কোনও ধর্মশালায়। নন এসি বাসে করে ঘোরানো হবে পর্যটকদের। আই আর সি টি সি'র একজন ট্যুর ম্যানেজার দেওয়া হবে। পর্যটকদের নেওয়া হবে ৫৬৭০ টাকা। এর সাথে ট্যাক্স যুক্ত থাকবে৷ লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে এই প্রথম ট্যুর প্যাকেজ চালু হতে চলেছে৷ এর আগে চলতি বছরে ভারতীয় রেল চালু করেছিল রামায়ণ এক্সপ্রেস। যেখানে ১৬ দিনে রামায়ণে বর্ণিত সব কটি জায়গা পরিদর্শন করানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে লকডাউনের কারণে তা আর চালু হয়নি৷ রেল আশাবাদী তাদের এই প্যাকেজ লাভবান হবে।

 

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নন, নভেম্বরের প্রথমে রাজ্যে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ। আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজ্য জুড়ে ভার্চুয়াল সভা করবেন তিনি। ৫ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে সভা করবেন। এরপর ৬ নভেম্বর কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠক সেরে ভার্চুয়াল সভা করবেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। এর আগে ঠিক ছিল, জেপি নাড্ডা রাজ্যে আসবেন।কিন্তু তিনি আসছেন না। তবে কিছুদিন আগে অবশ্য উত্তরবঙ্গে ঘুরে গেছেন নাড্ডা। বৈঠকও করেছেন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।

 

রাজ্যে জুট শিল্পের জন্য সুখবর। এবার থেকে প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে পাটের উপকরণ বাধ্যতামূলক করল মোদী সরকার। কেন্দ্রের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে সরাসরি উপকৃত হবেন রাজ্যের ৩.৭ লাখ শ্রমিক। এছাড়াও পাট চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪০ লাখ কৃষক পরিবারের সুবিধা হবে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খাদ্যশস্য প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ও চিনি প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পাটের উপকরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর তাকে স্বাগত জানিয়েছে জুট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। সাধারণত পাট শিল্পকে অনেকটাই সরকারি সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। যেহেতু সরকারের তরফে সবচেয়ে বেশি জুটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হয়, সেহেতু সরকারের ওপর পাট শিল্পকে নির্ভর করতেই হয়। প্রতি বছর খাদ্যশস্য প্যাকেজিংয়ের জন্য সরকারকে ৭৫০০ কোটি টাকা র বেশি চটের ব্যাগ কিনতে হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে চটের ব্যাগের চাহিদা যে বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বছর ঘুরতেই পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো রাজ্যে নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রভাব যে বিজেপির পক্ষেই যাবে তা বলাই যায়।

 

উৎসবের মরসুমে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। নিত‍্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ‍্যে পেঁয়াজ অত‍্যন্ত গুরুত্ব রাখে।প্রতি কিলো পেঁয়াজের দাম যাচ্ছে, কোথাও ১০০ বা কোথাও ১১০ টাকা। পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল মধ্যবিত্তের। টান পড়েছে হেঁসেলে। উৎসব মরশুমে কষা মাংস এখন দুরহস্ত। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা ভাবাচ্ছে সরকারকে। তাই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার। চাহিদা জোগাতে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো সরকার।  ফরেন ট্রেড দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ রাখা হবে। পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তাহলে এত বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজ? পেঁয়াজের চাহিদা ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যের রয়েছে। কাজেই সেই মোতাবেক যোগান দিতে হয় ভারতেই। সেই সুযোগ নিয়েই দাম বৃদ্ধি করা হয়। দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম এবং আগামী দিনে  ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈদেশিক বাণিজ্যিক পরিচালক জানিয়েছেন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ এখন বপনের মরশুম। গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যের দিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 

অবিলম্বে ধর্মা প্রোডাকশন তথা প্রযোজক করণ জোহরকে ক্ষমা চাইতে হবে গোয়া সরকারের কাছে। গোয়ার আবর্জনা নিয়ন্ত্রক মন্ত্রী মাইকেল লোবো জানান, অন্যথায় মুম্বইয়ের এই প্রযোজক সংস্থার উপর জরিমানা আরোপ করা হবে । লোবো বলেন, সবার প্রথমে সংস্থার ডিরেক্টর, কর্ণধাররা গোয়ার মানুষের কাছে ক্ষমা চান। তাঁরা ফেসবুকে একটি ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিন। যদি তা না হয় ,তাহলে সরকারের তরফে ধর্মা প্রোডাকশনসের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হবে'। সম্প্রতি শকুন বাত্রা  পরিচালিত একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য গোয়া গিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কর্ণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনসের তত্ত্বাবধানে চলছিল কাজ। সেখানেই শুটিং করতে গিয়ে গোয়ার গ্রামে জঞ্জালে ভরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্ণের প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে শ্যুটিংয়ের পর ইউনিটের তরফে ব্যবহার করা পিপিই কিট, মাস্ক, প্লাস্টিকের থালা পর্যন্ত ফেলা হয়েছে। আবর্জনা ভরতি সেই এলাকার ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতেই এবার বিপাকে পড়েছেন কর্ণ। ভাইরাল ছবি-ভিডিও দেখে বেজায় চটেছে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ পাণ্ডুরঙ্গ সাবন্তের সরকার। যার জেরে বলিউডের এই ডাকসাইটে প্রযোজনা সংস্থাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। নতুবা মোটা জরিমানা গুনতে হতে পারে প্রযোজনা সংস্থার কর্তা কর্ণকে। এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অফ গোয়া নোটিস পাঠিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশনসের লাইনস প্রোডিউসারকে। রাজধানী পানাজি থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই নেরুল গ্রাম যেখানে শুটিং চলছিল। লোকাঞ্চো একভোট্ট গোয়া নামে এক পরিবেশপ্রেমী সংস্থাও এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়। কর্ণ জোহরকে ক্ষমা চাইতে বলার পাশাপাশি তারা স্পষ্ট এও জানিয়ে দেয় যে ক্ষমা না চাইলে এই আবর্জনা কুরিয়রের মাধ্যমে জোহরের মুম্বইয়ের অফিসে পাঠিয়ে দেবেন তাঁরা। গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন,  ‘এটা একেবারেই অনুচিত কাজ, প্রকাশ্যে আবর্জনা এইভাবে ফেলে দেওয়া। যখন ফিল্মের শ্যুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন এই শর্ত থাকা বাধ্যতামূলক যে সংশ্লিষ্ট সংস্থা আবর্জনাগুলির সঠিক বন্দোবস্ত করবে’।

 

নীল চাঁদ কখনো দেখেছেন? তা আবার হয় নাকি। হ্যা, হয়। এবার মহাকাশে দেখা যাবে নীল রংয়ের চাঁদকে। এবার করোনা আবহে এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারবেন অনেকে। এই ধরনের নীল চাঁদের দেখা সব সময় মেলে না। সাধারণত ১ মাসে দুবার পূর্ণিমা হলে দ্বিতীয় পূর্ণিমার দিন দিন চাঁদকে নীল দেখায়। ১ অক্টোবর শেষ বার পূর্ণিমা হয়েছিল। আবার ফের পূর্ণিমা হওয়ার কথা ৩১ অক্টোবর। ফলে নিয়ম অনুযায়ী সেদিন চাঁদকে নীল দেখানোর কথা। মহাকাশের এই বিরল ঘটনার সাক্ষী যাতে সবাই থাকতে পারে সেজন্য এবার অনলাইনে নীল চাঁদ দেখানোর ব্যবস্থা করল বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ইউ টিউব চ্যানেলে পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করা যাবে। সেইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি লাইভ চ্যাটিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা সেই লাইভ চ্যাটিংয়ে অংশ নেবেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নীল চাঁদের সঙ্গে নীল রংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ২০১৮ সালে এই ধরনের নীল চাঁদ দুবার দেখা গিয়েছিল। একবার ৩১ জানুয়ারি নীল চাঁদ দেখা গিয়েছিল। এরপর ৩১ মার্চ নীল চাঁদ দেখা গিয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে ৩১ জানুয়ারি নীল চাঁদ দেখা যাবে।

 

বিহারে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। এক দফা ভোট হয়েও গেছে। তিন দিন বাদেই আসছে ২য় দফার ভোট। এরমধ‍্যই এক ভিন্ন প্রকার প্রতিশ্রুতি  দিল মুখ‍্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। যাকে বলা যায় গেম চেঞ্জার। বিহারের বাল্মীকিনগরের এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিলেন, এবারে ক্ষমতায় ফিরলেই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান তিনি। যা আটকে আছে, জনগণনার তথ্য না থাকায়। ২০২১ সালের জনগণনার  তথ্য হাতে এলেই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। গতকাল বাল্মীকিনগরের জনসভায় নীতীশকে বলতে শোনা গিয়েছে, “জনসংখ্যার কথা যদি বলেন, সেটা একমাত্র আদমশুমারির পরই বোঝা যাবে। আর সেনসাসের সিদ্ধান্তটা আমাদের হাতে নয়। আমি চাইব, এবার থেকে সংরক্ষণ হোক জনসংখ্যার ভিত্তিতে। সব বর্ণের মানুষ জনসংখ্যার সমানুপাতে সংরক্ষণ পাক। আর এতে আমার কোনও দ্বিমত নেই।” অর্থাৎ নীতীশের স্পষ্ট ইঙ্গিত, ক্ষমতায় ফিরলেই তিনি জনসংখ্যার ভিত্তিতে সব বর্ণের মানুষের জন্য সংরক্ষণ করতে চান। যা কিনা ভোটের আগে গেমচেঞ্জার হতে পারে। কারণ, বিহারে দলিত, মহাদলিত, কুরমি, মল্লা, যাদবের মতো বহু বর্ণের মানুষের বাস। এদের মধ্যে অনেকেই উপযুক্ত পরিমাণ সংরক্ষণ পায় না, বা আদৌ কোনও সংরক্ষণের আওতায় নেই। এদের সংরক্ষণের আওতায় আনার এই পরোক্ষ প্রতিশ্রুতি শেষবেলায় হাওয়া নীতীশের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে, এই প্রথম নয়, এর আগেও নীতীশ কুমারকে সব সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের দাবি তুলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের আগে সংরক্ষণের টোপ কেন দিতে হচ্ছে? আসলে, বিহার ভোটের  আগে সব দিক থেকেই চাপে ছিলেন নীতীশ। একে তো দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার দরুন এক প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করছে তার বিরুদ্ধে। 

 

২০১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা সিআরপিএফ এর উপর হামলার ঘটনাকে, এক বিরাট কৃতিত্ত্ব বলে সংসদে দাবী করেন পাকমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গুণগান গাওয়ার সময়েই এই কথা বলে বসেন তিনি। এই একটি মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় ফেলে দিতে পারে ফিনান্সিয়াল টাস্ক ফোর্স। বুঝতে পেরেই সুর বদল করছেন বিজ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের যুক্তরাষ্ট্রীয় মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তাঁর কথায়, "আমি পুলওয়ামা পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা বলেছি।  ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের আবহ তৈরির কোনও ইচ্ছে আমার নেই।" বুধবার,  পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে এক ভাষণে মুসলিম লিগ নওয়াজ নেতা আয়াজ সাদিক বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরানো হয়েছে প্রত্যাঘাতের ভয়েই। সেই সময় নাকি পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, নির্দিষ্ট দিনে রাত ন'টার মধ্যে অভিনন্দনকে মুক্তি না দিলেই ভারত হামলা শুরু করবে, এমনটই দাবি করেন পিএমএল-এন নেতা আয়াজ সাদিক। সাদিকের এই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের নামী সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজ। এরপরেই ড্যমেজ কন্ট্রোলে নেমে ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন,"পুলওয়ামার ঘটনা আমাদের সাফল্য , আমরাও ভারতে ঢুকে মেরেছি।"  তাঁর মতে এই নিয়ে নাকি পাকিস্তানিদের গর্ব করা উচিত।

 

দীঘাকে ধ্বংস করছে DSDA !!

অভিযোগ জমা পড়ল জেলাশাসকের দপ্তরে

 

 এ যেন রক্ষকই ভক্ষক। দীঘা শঙ্করপুর এর উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা DSDA   ।  কিন্তু অভিযোগ, সেই উন্নয়ন পর্ষদই দীঘায় উন্নয়ন এর পরিবর্তে দিঘাকে ধ্বংসের খেলায় মত্ত হয়েছে।

দীঘার যে প্রাকৃতিক পরিবেশ বা স্বাতন্ত্র্যতা ছিল সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে আর এটা হচ্ছে DSDA বা দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর তত্ত্বাবধানে। এমনটাই অভিযোগ জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসকের দপ্তরে। অভিযোগ জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর কোস্টাল প্রটেকশন ক্যাম্পেইন বা PMCPC নামক স্বেচ্ছাসেবী ও সচেতনতা মূলক সংগঠন।

সংগঠনের অভিযোগ, অতিসম্প্রতি  দীঘার উপকূলীয় তটসংলগ্ন জগন্নাথ ঘাট এলাকায় তথা দীঘা থানার সামনের অংশে কেয়া গাছের জঙ্গল যথেচ্ছরূপে বেআইনিভাবে কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এই কাজ করা হচ্ছে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর তত্ত্বাবধানে। দীঘার সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নের দোহাই দিয়েই এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

এক্ষেত্রে প্রকৃতিগতভাবে তৈরি হওয়া কেয়া গাছের জঙ্গল যথেচ্ছরূপে কেটে ফেলার কারণে উপকূল এলাকায় সবুজের যে ভারসাম্য রয়েছে সেই ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকৃতিগত ভারসাম্য রক্ষায় বড় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে।

আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই জেলা শাসকের দপ্তরে অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত এই কর্মকাণ্ড বন্ধ করার বিষয়ে জেলা শাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে  PMCPC সংগঠনের পক্ষ থেকে।

 

গোটা বিশ্ব দেখছে,গত দুমাস ধরে বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজেনের মধ‍্যে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কলম ছেড়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনিয়াঁর স্ত্রী আনা হাকোবিয়াঁ। সাধারণ সৈনিকদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের হয়ে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে কমব্যাট প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন আনা। পেশায় সংবাদপত্রের সম্পাদক ৪২ বছরের আনা সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, আমাকে নিয়ে ১৩ জন মহিলার একটি দল সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করছি। কয়েকদিনের মধ্যেই সুরক্ষায় সেনাকে সহায়তা করতে আমরা সীমান্তে পাড়ি দেব। না আমরা আমাদের মাতৃভূমি না সম্মান-- কোনওটাই শত্রুর কাছে সমর্পণ করব। এই প্রথম নয়। এর আগে গত অগাস্ট মাসেও একবার অন্য মহিলাদের সঙ্গে কমব্যাট প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আনা। সাতদিনের ওই প্রশিক্ষণে শারীরিক ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়েছিল। ফলে, এটা হচ্ছে তাঁর দ্বিতীয় সামরিক প্রশিক্ষণ। ১৯৯০ সালে বাকু থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর্মেনীয় অধ্যুষিত আজারবাইজানের পার্বত্য কারাবাখ প্রদেশের দখল নিয়ে দুদেশের মধ্যে তীব্র দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষ চলছে। এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।গত ২৭ সেপ্টেম্বর, কারাবাখে প্রচণ্ড গোলাগুলির বিনিময় শুরু হয়। শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।১৯৯৪ সাল থেকে কারাবাখ ছিল আর্মেনিয়ার দখলে। কিন্তু, সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বিপুল ক্ষতি হয়েছে তাদের। আজারবাইজানের কিছু এলাকা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয় আর্মেনিয়া। পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গম্ভীর উল্লেখ করে আনা সকল দেশবাসীকে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বান করেছেন আনা। এমনকী, তাঁর ২০ বছরের ছেলে অ্যাশটও যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে নথিভুক্ত করেছেন।

 প্রায় ৯২ বছর বয়সে চলে গেলেন গুজরাটের মুখ‍্যমন্ত্রী কেশুভাই প‍্যাটেল। গত মাসেই তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে তিনি উপসর্গহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত আহমেদাবাদের এক হাসপাতালে ভরতি করা হয় প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। হাসপাতাল প্রশাসনের তরফে ড. অক্ষয় কিলেদার অবশ্য জান‌িয়ে দিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি কেশুভাইয়ের। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আর ওঁর সংজ্ঞা ফেরানো যায়নি। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ওঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। উনি করোনায় মারা যাননি।’’ ১৯৯৫ সালে প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতা। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে রাজ্যের মসনদে বসেছিলেন মোদি। পরে কেশুভাই বিজেপি ছেড়ে নিজের দল ‘গুজরাট পরিবর্তন পার্টি’ গঠন করেন ২০১২ সালে। ২০১২ সালেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ালেও জিততে পারেননি। শেষপর্যন্ত আবার বিজেপিতেই ফিরে গিয়েছিলেন গুজরাট বিধানসভার ছ’বারের এই বিধায়ক। ২০১৪ সালে আবারও গেরুয়া শিবিরেই প্রত্যাবর্তন ঘটে কেশুভাইয়ের। 

 

কৌন বনেগা করোরপতি, করোনা এবং ভক্তঃ

প্রথম প্রশ্ন ১ হাজার টাকার জন্যঃ করোনার উৎপত্তি কোথায়?

উত্তরঃ চীনে

দ্বিতীয় প্রশ্ন ২ হাজার টাকার জন্যঃ করোনা গোটা দুনিয়ায় ছরিয়ে পড়লো কিভাবে? 

উত্তরঃ বিভিন্ন দেশের মধ্যে যাতায়াতের কারনে।

তৃতীয় প্রশ্ন ৫০০০ টাকার জন্যঃ দুই দেশের মধ্যে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যাতায়াত কিভাবে হয়ে থাকে?

উত্তরঃ  ফ্লাইটের মাধ্যমে

চতুর্থ প্রশ্ন ১০,০০০ টাকার জন্যঃ ফ্লাইট বা প্লেন কোথায় নামে বা কোথা থেকে যাত্রা করে?

উত্তরঃ এয়ারপোর্টে 

পঞ্চম প্রশ্ন ২০,০০০ টাকার জন্যঃ অর্থাৎ করোনা দেশে কোথা থেকে ঢুকলো?

উত্তরঃ এয়ারপোর্ট থেকে

ষষ্ঠ প্রশ্ন ৫০,০০০ টাকার জন্যঃ অামাদের দেশে কতগুলো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অাছে?

উত্তরঃ ৩৪ টা

সপ্তম প্রশ্ন ১০০০০০ টাকার জন্যঃ এই সব এয়ারপোর্ট কার অধীনে অাছে?

উত্তরঃ কেন্দ্র সরকারের অধীনে।

এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন....

অষ্টম প্রশ্ন ২০০০০০ টাকার জন্যঃ ৩৪ টা এয়ারপোর্টে লকডাউন করা সহজ ছিল না সারা দেশে লকডাউন করা সহজ ছিল ?

উত্তরঃ এয়ারপোর্ট...

নবম প্রশ্ন ৩০০০০০ টাকার জন্যঃ চীনে করোনা অতিমারির খবর গোটা দুনিয়ায় প্রথমবার কখন ছড়িয়ে পড়ে? 

উত্তরঃ ৮ ডিসেম্বরে

দশম প্রশ্ন ৬০০০০০ লাখ টাকার জন্যঃ জানুয়ারিতে তাহলে  এয়ারপোর্ট কেন বন্ধ করা হল না?

উত্তরঃ কারন ২৪ ফেব্রুয়ারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর ছিল।

এগারো নম্বর প্রশ্ন ১২০০০০০ টাকার জন্যঃ তাহলে কি ততদিন পর্যন্ত এয়ারপোর্টে নামা সমস্ত ব্যাক্তির করোনা টেস্ট করানো হয়েছিল? 

উত্তরঃ না...

১২ তম প্রশ্নঃ ২৫০০০০০ টাকার জন্যঃ WHO কবে থেকে ভারতে লকডাউনের পরামর্শ দেয়???

উত্তরঃ ১ লা ফেব্রুয়ারী থেকে..

তেরো তম প্রশ্নঃ ৫০০০০০০ টাকার জন্যঃ তাহলে কেন্দ্র সরকার তখন থেকে লকডাউন কেন লাগু করে নি?

উত্তরঃ কারন মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলতে হত...

চৌদ্দ নম্বর প্রশ্ন ১০০০০০০০০ টাকার জন্যঃ তাহলে দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী কে??????

উত্তরঃ নেহেরু..... 

কারন নেহেরু ই এয়ারপোর্ট গুলো বানিয়েছিলেন...

আপনাকে অভিনন্দন.. আপনি এক কোটি টাকা জিতে ফেলেছেন।

🤣🤣🤣🤣🤣🤣

 

বিজেপিকে সমর্থনের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করে দিলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। সেইসঙ্গে তার ঘোষণা, অখিলেশ যাদবের সঙ্গ দেবে না তাঁর দল। বরং সমাজবাদী পার্টিকে  হারাতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে। আর সেজন্য যদি বিজেপিক সমর্থন করতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই বহুজন সমাজ পার্টির। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বেহেনজির এই ডিগবাজি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মায়াবতীর দল এখন বেশ কোণঠাসা। নিজের রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই এখন কার্যত প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন তিনি। গতকালই মায়াবতীর দলের সাত বিধায়ক অখিলেশের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তাঁরা চাইছিলেন, রাজ্যসভা নির্বাচনে আলাদা প্রার্থী না দিয়ে সমাজবাদী পার্টিকেই সমর্থন করুক বিএসপি। কিন্তু মায়াবতী তাঁদের কথা না শুনে আলাদা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে আসলে লাভ হবে বিজেপির। দলের সুপ্রিমোর এই সিদ্ধান্ত না মানতে পেরে ওই সাত বিধায়ক সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। গতকালই তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো। তারপরই আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরণ ঘটালেন। বললেন,”লোকসভা ভোটে আমরা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করে ভুল করেছিলাম। ভোটের পর আমাদের সঙ্গে ওঁরা যা আচরণ করেছে, তাতে আমরা ভুল বুঝতে পারছি। আমাদের আরও ভাবা উচিত ছিল। এমনকী মুলায়মের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তও ভুল ছিল।” মায়াবতী বলেন,”আমরা ঠিক করেছি আসন্ন বিধান পরিষদের নির্বাচনে আমরা সমাজবাদী পার্টির বিরোধিতা করব। যে কোনও মূল্যে ওদের দ্বিতীয় প্রার্থীকে হারাব। আর সেজন্য যদি আমাদের বিজেপিকে ভোট দিতে হয়, সেটাই দেব।”

 

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দুটি তাজা বোমা। গাড়ির গ্যারেজ থেকে বোমা দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা। রাস্তায় গুড়ি ফেলে অবরোধ করেন তারা। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এখনো সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন বর্ষিয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গতকাল প্রথম দফার ডায়ালিসিসের পর খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা। আজ আবার ফের ডায়ালিসিস হবে কিনা রিপোর্ট দেখে তার সিদ্ধান্ত নেবে। কথা বলা হবে কিডনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও। ফুসফুস ও শরীরে নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে কিনা তা আজ দেখবেন চিকিৎসকরা। বেলভিউ সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই আছেন প্রবীণ অভিনেতা। তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্নভাব স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নীচে। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় সৌমিত্রবাবুর অন্ত্রে নতুন কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি। গত দুদিনে সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থার কোনও অবনতি হয়নি। তাঁর স্নায়ুর সমস্যা একই রকম রয়েছে।ভেন্টিলেশন নির্ভরতা সামান্য বেড়েছে। হৃদযন্ত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যাতে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে তার জন্যও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধে কাজ হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।

 

বাগনানে বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। অষ্টমীর দিন বাড়ির সামনে বাগনান ৫ নম্বর মন্ডলের সভাপতি কিঙ্কর মাঝিকে গুলি করা হয়।‍বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে  এই বনধ্ সংঘটিত হয়। কিন্তু সৌমিত্র খাঁ বাগনানে ঢুকতে গেলেই পুলিশ তাকে আটকে দেয়। বিজেপি সমর্থকরা থানার গেটে বিক্ষোভ দেখায়। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালানো হয়। সামনে চলে আসেন স্থানীয় বিজেপির মহিলা মোর্চারাও। লাথি মেরে ফেলে দেওযা হয়েছে গার্ডরেল। সম্পূর্ণ রাস্তায় যানচলাচল ব্যাহত হয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার খানেক। যত সময় এগোচ্ছে কর্মী সমর্থকদের ভিড় বাড়ছে এলাকায়। বনধ সফল করতে বদ্ধ পরিকর বিজেপি। এলাকা জুড়ে পুলিসের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে।যত সময় যাচ্ছে, উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এলাকায়। সৌমিত্রর কথায়, " এবার গোটা হাওড়া জ্বলে যাবে, আমাদের ছেলেদের গ্রেফতার করা হল কেন? ওদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে" অন্যদিকে, তীব্র উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে কর্মীদের সংযত রাখতে বলেছেন সৌমিত্র খাঁ। সবমিলিয়ে তুমুল বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাগনান। 

 

প্রয়াত ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা

ঝাড়গ্রাম : প্রয়াত হলেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা কুড়ি মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন ।  ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে।

২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন সুকুমার হাঁসদা।  পেশায় ছিলেন ডাক্তার।  ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে দীর্ঘদিন ডাক্তারি করেছেন তিনি । ২০১১ নির্বাচনে বিধায়ক হওয়ার পর তিনি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রিত্ব পান । ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে আবার জয়ী হন তিনি । এইবার তিনি রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার পদে নিযুক্ত হন । হঠাৎ করে শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর শুরু করেন চিকিৎসা। কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি থাকা কালীন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

 

দেশের নেতা মন্ত্রীরা একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বিজেপি নেত্রী তথা আমেটির সাংসদ স্মৃতি ইরানি। নেত্রী নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন এ কথা। অমেঠির সাংসদ ট্যুইটে গত কয়েকদিনে তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলকে যত শীঘ্র সম্ভব কোভিড টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, কোনও ঘোষণা করার বেলায় শব্দ খুঁজতে হচ্ছে, আমার ক্ষেত্রে এমনটা বিরল। তাই সহজে কথাটা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, আমি কোভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হয়েছি। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও বলছি, যত দ্রুত পারেন, পরীক্ষা করিয়ে নিন। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকরী, পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু সহ কেন্দ্রের শাসক শিবিরের বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে আজ ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেস ৮০ লক্ষের কাছে চলে গিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩৮৯৩টি নতুন সংক্রমণের খবর নথিভুক্ত হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৫০৮ জন। গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে আমেরিকায়। ৮৭ লক্ষের বেশি। ভারত ক্রমশঃ আমেরিকাকে ধরে ফেলার দিকে এগিয়ে চলেছে। 

 

শোনা যাচ্ছে নভেম্বর আসছে অস্কফোর্ডের টীকা। সে দিকে তাকিয়ে তামাম দুনিয়া। এর মধ্যেই হতাশাজনক কথা শুনালেন ইউকে ভ্যাক্সিন টাস্কফোর্সের চেয়ার কেট বিংহ্যাম। তিনি বললেন প্রথম জেনারেশনের করোনা টিকা নিঁখুত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেটি সবার জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি বলেন আদৌ কোনও কার্যকরী টিকা পাওয়া যাবে কি না, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। সবাইকে আত্মতুষ্টি ও অতি উৎসাহ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি। প্রসিদ্ধ মেডিক্যাল জার্নালে ল্যান্সেটে কেটের লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। কেট জানিয়েছেন যে প্রথম দফায় যে টিকা বেরোবে সেটিতে পুরোপুরি কাজ নাও হতে পারে। সেটা হয়তো কোভিড রুখল না কিন্তু কোভিডের যে লক্ষণ সেগুলিকে প্রশমিত করল। তার পরেও সেটা সবার জন্য কার্যকরী হবে না বলে তিনি জানান। কেটের কথায় ভ্যাকসিন টাস্কফোর্স জানে যে অনেকগুলি সম্ভাব্য টিকা বা সবকটাই ব্যর্থ হতে পারে। কীভাবে ৬৫ বছরের উর্ধ্বের নাগরিকদের জন্য করোনা টিকা কার্যকরী হবে, তার ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে চাহিদার তুলনায় করোনা টিকা নির্মাণের সংখ্যার কোনও মিল নেই। সেই পরিমাণ টিকা জোগাড় করা খুব শক্ত। এমনকি ব্রিটেনেও পরিস্থিতি সঙ্গীন বলে তিনি জানান। গতকাল ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে। এর ফলে কতটা কার্যকারী হবে টিকা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। 

 

করোনাকালে এটাই প্রথম ভোট, নীতিশ কুমার সরকারের ভাগ‍্য নির্ধারণে চলছে, প্রথম দফার ভোট। সকাল ৭টা থেকে ভোটদান পর্ব শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যে ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ৭১ আসনে প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন রাজ্যে ৬ মন্ত্রী।দুপর একটা পর্যন্ত অর্থাত্ প্রথম ৬ ঘণ্টায় রাজ্যে ভোট পড়ল ৩৩.১০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ছে ভাগলপুরে। সেখানে ভোটের হার  ৩৪.৩৪ শতাংশ। এর পেছনেই রয়েছে বাঁকা। সেখানে ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৩.১৪ শতাংশ। বেলা ১২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীসরাইয়ে ভোট পড়ে ২৬.৭৬ শতাংশ। নওয়াদায় ২৩.৪২ শতাংশ।

এদিকে, ভোটগ্রহণের মধ‍্যে মুঙ্গেরে দুর্গাপুজোর ভাসানে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নীতীশের বিরুদ্ধে সরব হন চিরাগ পাসোয়ান। তিনি নীতীশকে জেনারেল ডায়ারের সঙ্গে তুলনা করেন।এনিয়ে সরহ হয়েছেন তেজস্বী যাদবও। আরজেডি নেতাও প্রায় একই কথা বলেছেন।

 

বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কোনো প্রকার উন্নতি হয়নি গত ২৪ ঘন্টায়। গতকাল  বিকেল ৩টের মেডিক্যাল বুলেটিনে যা ছিল, তেমনই অবস্থা সৌমিত্রবাবুর। এখন ভেন্টিলেশন থেকে বের করাই অগ্রাধিকার বলে জানালেন চিকিৎসক অরিন্দম কর। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্নায়ুগত সমস্যা ও মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখন নজর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি ইনফেকশন, কিডনি, রেনাল ফাংশন ও অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতার ব্যাপারে নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা সংকটজনক। একাধিক অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করছে না। তা স্বাভাবিক করতে চাইছেন চিকিৎসকরা। ২১ দিন ধরে কনসাসনেসই প্রধান সমস্যা। তা ঠিক হলে স্টেরয়েড বা প্লাজমা থেরাপি শুরু হবে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সোমবার রাত থেকে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে রেখেই অক্সিজেন ওঠা-নামা ৯৫ শতাংশ। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেলে সূচক ৯-এর কাছাকাছি।

 

সারেগামার বিচারকদের পর ফের আক্রান্ত হলেন মিরাক্কেলের আর এক বিচারক অপরাজিতা আঢ‍্য। অভিনেত্রী-সহ তাঁর পরিবারের আরও চারজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত বলেই জানান। মোট ১২ জন সদস্য রয়েছে অপরাজিতা আঢ্যর পরিবারে। তিনি জানান, তাঁর শাশুড়ির জ্বর এসেছিল। তারপরই চিকিৎসক পরিবারের সকলের করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। ২১ তারিখ পরীক্ষার ফল আসে। যাতে দেখা যায় ৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। অভিনেত্রী ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত তাঁর শাশুড়ি, কাকাশ্বশুর এবং ননদ। শাশুড়ি প্রথম দিকে হালকা জ্বর এসেছিল। তারপর আর তেমন কোনও সমস্যা নেই। বাড়ির বাকি আক্রান্ত সদস্যদের কোনও উপসর্গ নেই। তবে প্রত্যেই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ডায়েট এবং ওষুধ খাচ্ছেন। স্টার জলসার ‘হাসিওয়ালা কোম্পানি’র শুটিং করছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। সুরক্ষা বিধি মেনেই চলছিল শুটিং। কীভাবে সংক্রমণ ছড়ালো সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। তবে সমস্ত সতর্কতা মেনে চলছেন।

 

সকালবেলা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সল্টলেকের এফডি ব্লকের পুজোমন্ডপ।সূত্রের খবর, ভোর ৬টা নাগাদ সল্টকের এফডি ব্লকের পূজো মন্ডপের থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা। মুহূর্তে কালো হয়ে যায় আকাশ। বিপদের আশঙ্কা করে স্থানীয়রা পৌঁছনোর আগেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে মণ্ডপ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থল পৌঁছয় দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। শুরু করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ। আজ বিসর্জনের কথা ছিল ওই পুজোর। ফলে প্রতিমাও ছিল ভিতরেই, সেই প্রতিমার কী অবস্থা তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু কী থেকে এই আগুন? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্রই নেই দমকল বা পুলিশের কাছে। দমকল আধিকারিকদের কথায়, আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভার পরই বিষয়টি জানা যাবে। দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মণ্ডপের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক পুজো উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, আজই তাঁদের প্রতিমা বিসর্জনের কথা ছিল। তার আগে এহেন কাণ্ডে ভেঙে পড়েছেন উদ্যোক্তা থেকে স্থানীয়বাসিন্দা সকলেই। 

 ফের অশান্ত কাশ্মীর। নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে খতম দুই জঙ্গি। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চাদুয়া অঞ্চলের মোচওয়ায় তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। ঘন্টা দুয়েক তল্লাশি চালানোর পর রাত ৯ টা নাগাদ হঠাৎ শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। খতম হয় ২ জঙ্গি। জঙ্গি দুজন কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।  জানা যাচ্ছে, দুজনের মধ্যে একজন বিদেশি। কাশ্মীরে এই ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াইতে এক জঙ্গি খতম হয়। এক জঙ্গি আত্মসমর্পন করে। তারা হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য বলে জানা গেছে।

 

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দেশে নতুন করে আনলকের পথে হাঁটল না কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, আনলক ৫ এর নির্দেশিকায় আর কোনো বদল আনা হচ্ছে না। আনলক ৫ আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার পর প্রশ্ন উঠে গেল, লোকাল ট্রেন কী চালু হবে না নভেম্বর মাসেও? যদিও যে সব রাজ্য অনুরোধ করেছে, সেখানে ইতিমধ্যে লোকাল ট্রেন চালানো শুরু হয়ে গেছে। এখন দেখার রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কী অবস্থান নেয়।

 

চাঁদে জল আছে কিনা তা নিয়ে এক সময়ে মানুষের কৌতুহলের অন্ত ছিল না। কিন্তু এবার সব কৌতুহলের অবসান ঘটিয়ে নাসা স্পষ্ট জানিয়ে দিল, চাঁদে জল আছে। হিম শীতল, অন্ধকার অংশে নয়, চাঁদের আলোকিত পিঠেই। নাসা জানিয়েছে, ক্লেভিয়াস গহ্বরে ১২ আউন্স মতো জল জমে আছে। চাঁদের মাটি ও ধূলিকণায় এক  ঘন মিটার জায়গা জুড়ে সেই জলের অণু ছড়িয়ে আছে। উল্লেখ্য, চাঁদের দক্ষিণ পিঠে দ্বিতীয় বৃহত্তম গহ্বর ক্লেভিয়াস। এই গহ্বরের নাম রাখা হয়েছে জার্মান গনিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্লেভিয়াসের নামে। বিশাল এই গহ্বরের মধ্যে কি রহস্য লুকিয়ে আছে, তা জানার চেষ্টা চলছিস এতদিন। নাসার জেটলাইনার সোফিয়া ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে চাঁদের গহ্বরের দিকে সতর্ক নজর রেখেছিল।

 

কৃষিবিলের প্রতিবাদে এখনও অমৃতসরের জেলার জনদয়াল গুরু স্টেশনে রেল ট্র্যাকে বসে রয়েছেন কৃষকেরা। রেলের তরফে সাফ জানান হয় রেলপথ থেকে কৃষকেরা না সরলে পণ্য পরিবাহী ট্রেন চালানো হবে না সেখানে।এর আগে রেলের তরফে জানান হয়েছিল ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে পাঞ্জাবে কোনও ট্রেন চলাচল করবে না, তবে এটি এখন ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথায় ফিরোজপুর বিভাগীয় রেলপথ ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) রাজেশ আগরওয়াল এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।প্রসঙ্গত, ২৪ সেপ্টেম্বর কৃষকরা ছয় দফায় ‘রেল রোকো’ শুরু করেছিলেন, যা দু’টি এলাকায় পরে বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১ অক্টোবর থেকে কৃষি বিলের প্রতিবাদে কৃষিপ্রধান দেশ পাঞ্জাবের ৩৩ টি বিভিন্ন স্থানে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে কৃষক ইউনিয়নের তরফে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলেও কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটি (কেএমএসসি) একটি নতুন জায়গায় ‘রেল রোকো’ শুরু করেছে, যার জেরে সঙ্কটে রেল পরিষেবা।ডিয়ারএম রাজেশ আগরওয়াল বলেন, “আমরা অনিশ্চয়তার এই পরিস্থিতিতে অপারেশন পরিচালনা করতে পারব না। আমরা এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে অপারেশন এবং পরিকল্পনা কেবল আমাদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। অন্য কারও দ্বারা নয়।”

 

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ‍্যম 'ডন' জানিয়েছে, সকালে পেশোয়ারে এক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জন প্রাণ হারায় আর ৫০ জন আহত হয় ঘটনাস্থলে। পেশোয়ারের ডির কলোনিতে জামিয়া জুবেরিয়া মাদ্রাসায় আজ সকাল ৮.৩০টা নাগাদ ঘটে এই বিস্ফোরণ।  কোরান শরিফ পাঠের ক্লাস চালকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক ওয়াকার আজিম। এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি প্লাস্টিকভর্তি ব্যাগে বিস্ফোরক রেখে যাওয়াতেই ঘটল এই বড়সড় বিস্ফোরন, প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পেশোয়ার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থনে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম।জানা গিয়েছে বিস্ফোরণে প্রায় ৫ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ইমপ্রোভাইডস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে। এদিন আহতের নিকটবর্তী লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের মুখপাত্র মহম্মদ আসিম জানিয়েছেন মৃত সাত জনের মধ্যে চারজন ছাত্রর বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। আহতদের মধ্যে রয়েছে দুজন শিক্ষকও। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক তাই বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৈমুর সলিম ঝাগড়া ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, উদ্ধার কাজের উপরই আপাতত জোর দেওয়া হচ্ছে, আহতের চিকিত্সার সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দফতর থেকেও এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটা এই বিস্ফোরণে মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। 

মঙ্গলবার সকালবেলা দিলীপের সল্টলেকের বাড়িতে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে গেলেন সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি জেলা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র সাথে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু । যাবতীয় তিক্ততা ভুলে দিলীপের কাছে আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নিয়েছেন সৌমিত্র। সেই সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতির সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন তিনি। দু’জনকে উপহার বিনিময় করতেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের একটি পদক্ষেপের পর বিষ্ণুপুরের সাংসদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে বহু জল্পনা কল্পনা চলেছে। আসলে, পুজোর মধ্যেই হঠাত যুব মোর্চার সমস্ত রাজ্য কমিটি সাংগঠনিক কারণে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিলীপ। আর তাতেই গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতির তিক্ততা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। শোনা যায় সৌমিত্র নাকি পদত্যাগ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী, যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও নাকি তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিজয়ার প্রণাম সারতে দিলীপের বাড়িতে গিয়ে তিনি বার্তা দিয়ে দিলেন, সব ঠিকই আছে। দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা নেই।

 

হাথরস গণধর্ষণ মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হচ্ছে না। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই তদন্তে নজরদারি চালাবে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিবি আই হাই কোর্টকে রিপোর্ট করবে। হাই কোর্ট মামলার সব দিক নজরে রাখবে। একবার তদন্ত শেষ হলে উত্তর প্রদেশের বাইরে বিচার প্রক্রিয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করা হবে। সিবি আই এখনই হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই। সব দিক হাই কোর্টের নজরদারিতে থাকবে।এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সিবি আই তদন্তের ওপর সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সিবি আই দল এই মামলায় নতুন করে এফ আই আর দায়ের করে তদন্তে নামে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন যে নাবালক, তা সিবি আই দলের নজরে আসে। হাথরাস পুলিশ এই বিষয়ে আগে কোনো তথ্য দেয়নি।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক চুক্তি সেরে ফেলল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি সাক্ষরিত হল। চিন বিরোধিতাকে সুসংহত চেহারা দিতে ও দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ককে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই চুক্তি সইয়ের ফলে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান আরো মজবুত হবে। মার্কিন মিলিটারি স্যাটেলাইট থেকে লাইভ ছবি পাবে ভারতীয় সেনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনা সেনাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে এর ফলে ভারতের অনেকটাই সুবিধা হবে। গতকালই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব ও বিদেশ সচিব দেখা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, চিনা সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে।

 

আগামী ৫ই নভেম্বর থেকে স্পাইসজেট কলকাতা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে উড়ান চালু হবে। আন্তর্জাতিক  উড়ানের তালিকায় চট্টগ্রামের নাম নতুন সংযোজন করলো স্পাইসজেট বিমান সংস্থা। সপ্তাহে ৪ দিন কলকাতা-চট্টগ্রাম  রুটে চলবে স্পাইসজেট এর নন-স্টপ বিমান। আগামী ৫ নম্ভেম্বর থেকে স্পাইসজেট  এর উড়ান শুরু হবে দিল্লি-ঢাকা-দিল্লি, কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা ও চেন্নাই-ঢাকা-চেন্নাই রুটে। কলকাতা-চট্টগ্রাম রুটে ভাড়া পড়বে ৪,২৫৫ টাকা। চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটের ভাড়া হবে ৪,৯৩৯ টাকা। কলকাতা-ঢাকার ভাড়া ৪,৬৩৮ টাকা। ঢাকা-কলকাতা রুটে ভাড়া ৫,৪৭৮ টাকা। অন্যদিকে, দিল্লি-ঢাকা রুটে ভাড়া ৭,৭৪৯ টাকা। ঢাকা-দিল্লির ভাড়া ১০,১৩৫ টাকা। চেন্নাই-ঢাকার ভাড়া ৫১২৮ টাকা, ঢাকা-চেন্নাই ভাড়া ৭,৩০৮ টাকা।

 

রবিবার নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই জানিয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি রোনালডিনহো। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। আপাতত সেলফ আইসোলেশন রয়েছেন তিনি।শনিবার বেলো হরিজন্তে সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রোনালডিনহো। সেখানেই কোভিড পরীক্ষা করান তিনি। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজেই করোনা আক্রান্ত হাওয়ার খবর জানিয়ে তিনি লিখেছেন। "আমি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছি, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমি ভাল আছি, শরীরে কোনও উপসর্গ নেই।" তিনি আরও লিখেছেন, রবিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে রোনালডিনহো জানিয়েছেন, ‘আমি শনিবার থেকে বেলো হরিজোন্তেতে আছি, এসেছি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে গিয়েছে। তবে শীঘ্রই সেখানে সবার সঙ্গে আমার দেখা হবে। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা!

 

এবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ‍্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের কোভিড পজিটিভ। অপাতত তিনি ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার তিনি নিজেই টুইট করে জানান সে খবর। টুইটে তিনি লেখেন, “আমার করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সতর্কতা অবলম্বন করতেই ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমি সকল নাগরিক, সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, অফিসার এবং কর্মীদের আমার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমি কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার কাজে ফিরে আসব।”প্রসঙ্গত, দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারির করোনায় আক্রান্তের ঘটনা এই প্রথম। তবে গত কয়েকদিন দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে, দিল্লি ও কলকাতায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। রেকর্ড বৃদ্ধি হচ্ছে কেরলেও।

এমনিতেই করোনা আতঙ্ক কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এর জেরে দ‍ুর্গাপ‍ুজোতেও এবার শহরের চেনা ছবি উধাও। করোনার ভয়ে ভয়ে নম নম করে প‍ুজো সারা। প‍ুজো শেষে মাকে হাসিম‍ুখে বিদায় জানানোর পালা। সবই হল, কিন্ত‍ু কোথাও যেন আনন্দের রঙ ফিকে। ইনস্টাগ্রামে মাকে বিদায় জানিয়ে সেই বিষয়টি তুলে ধরলেন অভিনেতা র‍ুদ্রনীল ঘোষ। অতিমারীর সময়ে বেশ কয়েকটি আবৃত্তি ইতিমধ্যেই পোস্ট করেছেন অভিনেতা। বিজয়া উপলক্ষে ফের সামনে এল মন খারাপের একটি কবিতা পাঠের ভিডিও। কোভিডের জন্য দ‍ুর্গাপ‍ুজোতে তেমন একটা মাতামাতি করতে পারেনি বাঙালি। হাইকোর্টের নির্দেশে সিঁদ‍ুর খেলাও বন্ধ। কী করা যাবে, মহামারীকে তাড়াতে স‍ুখ আনন্দকে বিসর্জন দেওয়া ছাড়া আর উপায়ই বা কী! মা মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাশ ফিরে যাবেন। প্যান্ডেলে চলছে তারই প্রস্ত‍ুতি। কোনও কোনও বনেদি বাড়ির প‍ুজো আবার নিরঞ্জনও সেরে ফেলেছে। একরাশ কষ্টকে ব‍ুকে চেপে মাকে চ‍ুপি চ‍ুপি বলা, আবার এসো মা। মন খারাপের এই দিনে অভিনেতা র‍ুদ্রনীল ঘোষ যেন প্রত্যেকটি বাঙালির মনের কষ্টকেই ত‍ুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।

 

মুক্ত চিন্তার দেশ ফ্রান্স। তাই হয়তো তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধর্মের গোঁড়ামিকে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। মনে পড়ে যায়, ৫ বছর আগে ফ্রান্সের বিখ‍্যাত  ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন পত্রিকা শার্লি এবেদোর দপ্তরে ভয়াবহ সংগঠিত সন্ত্রাসবাদী হামলার দগদহে স্মৃতি উসকে দিয়েছে শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা। মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র ছাপার জন্যই বদলা নিতে ম্যাগাজিনের দপ্তরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল সশস্ত্র জঙ্গিরা। প্যারিসের ঘটনা দেখিয়ে দিল, সেই জঙ্গিদের চিন্তাধারার উত্তরাধিকারীরা আজও ফ্রান্সে পুরোদমে সক্রিয়। আর কিছুদিন আগে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৪৭ বছর বয়সি শিক্ষক স্যামুয়েল পেটিকে গত শুক্রবার প্যারিস শহরতলির মধ্যবিত্ত পাড়ায় তাঁর স্কুলের বাইরে গলা কেটে হত্যা করে চেচেন বংশোদ্ভূত ১৮ বছরের একটি ছেলে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অধিকার বিষয়ের ওপর ক্লাসে স্যামুয়েল পয়গম্বর মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্রের উল্লেখ করে তার ব্যবহার করেছিলেন। এটাই ছিল ঘাতকের চোখে তাঁর অপরাধ। স্যামুয়েলের আচরণকে ধর্মদ্রোহিতা তকমা দেগে নিষ্ঠুর ভাবে তাঁর প্রাণ কাড়তে হাত কাঁপেনি ছেলেটির। সে ধর্মদ্রোহিতার বদলা নিয়েছে। পুলিশ তাকে পাল্টা গুলি করে মেরে ফেলে। ঘটনাটি তীব্র আলোড়ন ফেলেছে ফ্রান্সে। ফ্রান্সের জনজীবনে নামডাকওয়ালা বিদ্বজনেরা শিক্ষক হত্যাকে ফরাসি মূল্যবোধ ও প্রজাতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলে নিন্দা করেছেন। বুধবার প্যারিসের সরবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত শিক্ষকের স্মৃতিতে জাতীয় স্মরণসভা হওয়ার কথা। পাশাপাশি তাঁকে মরণোত্তর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘লেজিঁও দ'নার’ খেতাব দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী জ্যঁ মিশেল ব্ল্যাঙ্কার।

 

বাংলায় একুশের ভোট বিজেপির পাখির চোখ। কিন্তু ক্ষমতায় আসার আগেই অন্দরে লেগে গেছে কোন্দল।এই অন্দরের কোন্দল থামাতে চায় বিজেপি। বিভাজনের যে কাঁটা পদ্মে দানা বেঁধেছে তা উপড়ে ফেলার চেষ্টায় নেমেছে গেরুয়া নেতৃত্ব। একদিকে জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছেন বিজেপি’‌র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাতে গোঁসা করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিজেপি’‌র সাংসদ সৌমিত্র খান। যুব মোর্চা থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেও পরে ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে দুটি লবি। এই পরিস্থিতিতে ইতি টানতে চাইছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।বছর ঘুরতেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে এই বিভাজন ফ্যাক্টর কাজ করলে সুবিধা হবে তৃণমূলেরই। তাই এই ফাটল মেরামত করতে পথে নেমেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন। সৌমিত্র খান হলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ। লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছেন সৌমিত্র। মুকুল রায় বিজেপিকে সংখ্যা এনে দিয়ে সাফল্য তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে দল ভাঙানোর খেলায় তিনি বাজিমাতও করেছেন। সেখানে এই দু’‌পক্ষের বিভাজন না মেটালে দলের ক্ষতি হবে। এটা বুঝতে পেরেই বিভাজন কাঁটা সরাতে নেমেছেন তাঁরা।

 

দশমীতে রাবন দহনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল বিরাট বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, নবরাত্রি র শেষে দুষ্ট বিনাশ ঘটাতে দশেরায় রাবন দহন করতে পঞ্জাবের ডি এ ভি স্কুলের মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি, বিধায়ক, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিস। রাবণের শরীরে পুরে দেওয়া হয়েছিল একাধিক আতশবাজি। যেখানে আগুন দেওয়া মাত্রই একই সঙ্গে বিস্ফোরণ করতে থাকে। আগুন দেওয়ার সময় রাবণের কাছে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নেতা-মন্ত্রী পুলিস এবং স্থানীয় বেশকিছু বাসিন্দা। বিস্ফোরণ হওয়ার মুহূর্তে যে যেদিকে পারে প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেয়। দাউ দউ করে জ্বলে ওঠে রাবণের প্রতিলিপি। আগুনের লেলিহান শিখা নিমেষে প্রায় আকাশ ছুয়ে যায়। হঠাৎ এগিয়ে আশা আগুনের ফুলকির হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণে যে যেদিকে পারে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। হোচট খেয়ে মাটিতে আচড়ে পরে নেতা পুলিস। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।