তরুণীর ক্লিভেজ বাধা হল প্রবেশে!‌



আধুনিকতায় এখন সমাজ বদলেছে। কিন্তু মানসিকতা সত্যি কী বদলেছে? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বিশ্বে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ফরাসি তরুণীর খোলা চিঠি ভাইরাল হওয়ায় এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বক্ষ বিভাজিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। আর তা নিয়েই নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নারীর ক্লিভেজ বা বক্ষ বিভাজিকা দেখা যাওয়া কী খারাপ? অনেকেই বলেছেন, না। ওটা নারীর সৌন্দর্য পরিস্ফুটিত করে। কিন্তু তরুণীর ইনস্টাগ্রামে খোলা চিঠি বলছে অন্য কথা। তিনি জানান, এক বন্ধুর সঙ্গে জাদুঘরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ঢোকার মুখে টিকিট দেখাতে যাওয়ার সময়ই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী জানিয়ে দেন, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু কেন?‌ তা জানতে চান তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে বলা হয়, আপনার পোশাক অত্যন্ত খোলামেলা। আপনার বক্ষ বিভাজিকা ক্লিভেজ দেখা যাচ্ছে। 

তরুণীর দাবি, এই কথা শোনা মাত্রই অন্যান্যরাও তাঁর বিভাজিকা বা ক্লিভেজের দিকে তাকাতে থাকেন। রীতিমতো লজ্জায় পড়ে যান তিনি। পোশাক বদল করলেই মিউজিয়ামে ঢোকা সম্ভব বলেও জানান ওই নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু মিউজিয়ামে ঢোকার পোশাক–বিধি যখন রয়েছে তা কেন কোথাও উল্লেখ করা নেই?‌ প্রশ্ন করেন তরুণী। উত্তর দেননি মিউজিয়ামের নিরাপত্তারক্ষী। পোশাক বদল করে মিউজিয়ামে ঢোকার প্রস্তাবে রাজি হননি তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে খোলা চিঠি লেখেন।

তরুণীর চিঠি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে একজন তরুণীকে পোশাক নিয়ে বলা হল বলে সমালোচনার ঝড় তুলতে থাকেন সকলে। এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতার সামিল বলেও অভিযোগ করেন অনেকেই। নেটিজেনদের রোষে অস্বস্তিতে পড়ে ওই মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তরুণীর কাছ থেকে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় তারা।

Post a Comment

[blogger][facebook][disqus]

Author Name

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
satta king tw