সামাজিক দূরত্ব ছয় ফুট পর্যন্ত বলা হচ্ছে। এই দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা সংক্রমণকে এড়িয়ে চলা যাবে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ঠান্ডা–গরমের তারতম্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত। এই তথ্য উঠে এসেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। সুতরাং সামাজিক দূরত্ব দু’জন মানুষের মধ্যে যে ৬ ফুটের দূরত্বের কথা বলা হয়েছে তা কোনও কাজে দেবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা একটি কমপ্রিহেনসিভ গাণিতিক মডেলের সাহায্য নিয়েছেন। তারই মাধ্যমে রেসপিরেটরি ড্রপলেটের ইভাপোরেশন, হিট ট্রান্সফার এবং প্রোজেক্টাইল মোশন খতিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ভেন্টিলেশন পরিস্থিতিতে। দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের রেসপিরেটরি ড্রপলেটের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন পাথওয়ে শর্ট–রেঞ্জ ড্রপলেট কনট্যাক্ট এবং লং–রেঞ্জ এরোসল এক্সপোজারে বিভক্ত।
শুধু তাই নয়, গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে, বড় ড্রপলেট মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্যে বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে না। বাতাসের উপরের স্তরেই থেকে যায়। ছোট ড্রপলেট দ্রুত বাষ্প হয়ে এরোসল পদার্থের রূপ নেয় এবং ভাইরাসকে বাতাসে ভাসমান রাখতে পারে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত। এই মডেলের থেকে এই তথ্যই উঠে আসছে সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের নির্দিষ্ট ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব নিরাপদ নয় কিছু আবহাওয়ায়।
আর সিঙ্গাপুরের ডিউক–এনএসএস মেডিক্যাল স্কুলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, বিটাডিন অ্যান্টিসেপটিক করোনার সংক্রমণ রুখতে কার্যকর। ৮ জুলাই (২০২০) এই বিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড থেরাপি জার্নালে।
Post a Comment