রামদেবের পতঞ্জলির "করনীল"-এ নিষেধাজ্ঞা
করোনা ভাইরাসের মতো
মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে আজ গোটা বিশ্ব
। দেশ তথা
বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসক,
গবেষক এই ভাইরাসের প্রতিষেধক
স্বরূপ এখনো পর্যন্ত কোনো
ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি ।
বাজারে চলতি কিছু এন্টিবায়োটিক
ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমেই চলছে এ রোগের
চিকিৎসা । আমেরিকার
মতো দেশও এর বাইরে
নয় । ঘন্টায়
ঘন্টায় মিউটেশনের মাধ্যমে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে
চরিত্র বদল করে ক্রমশঃ
বংশ বিস্তার করে চলেছে করোনা
ভাইরাস । আর
এই কারণেই নির্দিষ্ট প্রতিষেধক
তৈরিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে
বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ।
তাই এখনও পর্যন্ত lockdown আর
সামাজিক দুরত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করোনার
ভ্যাকসিন । এরই
মধ্যে পতঞ্জলির "করনীল" হৈচৈ ফেলে দিয়েছে
দেশজুড়ে ।
যোগগুরু রামদেবের দাবি করোনা ভাইরাস
সংক্রান্ত রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে
এই ওষুধ সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য
। রোগের উপসর্গ
হিসেবে জ্বর, সর্দি-কাশি
ইত্যাদি রোধ ও নিরাময়ে
এই ওষুধ ১০০ শতাংশ
কার্যকর, দাবি সংস্থার ।
এমনকি শুধু মৌখিক ভাবেই
নয়, বহু আক্রান্ত মানুষের
ওপর প্রয়োগ করে ওষুধের
গুণগত মান ও তার
জীবনদায়ী ফলাফলও পাওয়া গেছে
বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি
করা হয়েছে । কিন্তু
ভারত সরকারের আয়ুশ মন্ত্ৰালয় করনীল
সংক্রান্ত পতঞ্জলির এই ধরণের প্রচারে
নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ।
করোনা রোগের ১০০ শতাংশ
প্রতিষেধক বলে সংস্থার এই
ওষুধের প্রচারকে " ড্রাগ এন্ড ম্যাজিক
রেমিডিজ আইন ১৯৫৪ " - এর
বিরোধী বলে জানিয়েছে মন্ত্ৰালয়
। ওষুধের যাবতীয়
উপাদান, প্রতিটির বিজ্ঞানসম্মত গুনাগুন, কার্যকরী ক্ষমতা ইত্যাদি যাবতীয়
তথ্য অবিলম্বে মন্ত্ৰালয়কে জানাতে হবে বলে
পতঞ্জলিকে নির্দেশ দিয়েছে আয়ুশ ।
কোভিড নিরাময়ে এই ওষুধ যে
প্রতিষেধকের কাজ করতে পারে,
তার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে পতঞ্জলির
কাছ থেকে । শুধু
তাই নয়, কবে, কখন,
কোন হাসপাতালে এই ওষুধের প্রয়োগে
রোগীদের আরোগ্যলাভ হয়েছে সে বিষয়েও
জানতে চাওয়া হবে সংস্থার
কাছে ।
সব মিলিয়ে আপাতত করনীল
- এ নিষেধাজ্ঞা । উত্তরাখন্ড
সরকারের আয়ুর্বেদ বিভাগের এক লাইসেন্স অফিসার
বলেছেন যে পতঞ্জলির করা
এক আবেদন পত্রের ভিত্তিতে
ওই ওষুধ তৈরীর লাইসেন্স দেওয়া হয়, কারণ
এতে ব্যবহৃত ভেষজ উপাদান সাধারণ
জ্বর, সর্দি-কাশিতে আরামদায়ক
। কিন্তু তাতে
করোনা রোগ-নিরাময় সংক্রান্ত
কোনো বিষয়ের উল্লেখ ছিল
না । করনীলকে
কোভিড রোগের প্রতিষেধক হিসেবে
প্রচার করার অনুমতি বা
লাইসেন্স পতঞ্জলি কোথা থেকে পেলো
---- নোটিস জারি করে পতঞ্জলির
কাছ থেকে উত্তর চাওয়া
হবে বলে জানিয়েছে উত্তরাখন্ড সরকার ।
Post a Comment